এভ্রিল বাদ, মুকুট জেসিয়ার
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল নয়, ২০১৭ সালের মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন জেসিয়া ইসলাম। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
অন্তর শোবিজ এবং ওমিকন এন্টারটেইনমেন্ট রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
প্রথমে ঘোষণা করা লাভেলো মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল বিবাহিত এবং এই তথ্য তিনি গোপন করায় মুকুটের অযোগ্য বিবেচিত হন। পরে আজ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ হিসেবে জেসিয়া ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।
নাম ঘোষণার আগে বিবি রাসেল নিজের প্রথম পছন্দ হিসেবে জান্নাতুল নাঈম এভ্রিলের কথাই বারবার উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে প্রথম হন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। তিনি পান সব মিলিয়ে ৫১ নম্বর। এরপর ৪৮ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হন জেসিয়া ইসলাম। আর তাঁর চেয়ে এক নম্বর কম পেয়ে তৃতীয় হন জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজকদের কাছে এভ্রিলের বিয়ের তথ্য পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা জানায়, তিনি বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন এবং এখন যদি ‘সিঙ্গেল’ হন, তাহলে সেটি কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু যেহেতু তিনি বিয়ে ও বিচ্ছেদের তথ্য গোপন করেছেন সেটি একধরনের অসততা। সে কারণেই তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
আয়োজকরা আরো জানান, প্রথম রানার আপ বা দ্বিতীয় রানার আপের মধ্য থেকে যে কোনো একজনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করতে পারবেন বিচারকরা। এখন এটি বিচারকদের সিদ্ধান্ত। পরে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে জেসিয়া ইসলামকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লাভেলোর চেয়ারম্যান ইকরামুল হক, অন্তর শো বিজের কর্ণধার স্বপন চৌধুরী, বিচারক শম্পা রেজা, চঞ্চল মাহমুদ, বিবি রাসেলসহ অন্যরা।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর জমকালো গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিচারকরা চূড়ান্ত বিজয়ীকে নির্বাচন করেন। প্রায় ২৫ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নির্বাচিত হন জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল। তবে সে সময় মঞ্চে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তাঁর নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এরপরই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, তিনি বিবাহিত। পরে বিচ্ছেদ হলেও সে তথ্য গোপন করেন তিনি। আর এর পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লাইভে এসে বিয়ের কথা স্বীকার করেন এভ্রিল। অবশ্য সেটি অনেক ছোট বয়সে এবং তাঁর ইচ্ছার বিপরীতে হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।