সাজেদার গাড়িবহরে হামলায় মামলায় ‘প্রতিপক্ষ’ আসামি
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় পুলিশ ও ভুক্তভোগীর দায়ের করা দুটি মামলাতেই ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে’ আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার তালমা মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংসদ উপনেতার বহরের দুটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ন কবির এবং ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আরিফ হোসেন বাদী হয়েই মামলা দায়ের করেন। দুটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬৯ জনকে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. জামাল হোসেন মিয়া এবং তাঁর বড় ভাই ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামাল হোসেন মিয়াকে।
আবার এই দুজনকেই প্রধান আসামি করে মামলা করেছেন ফুলসুতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আরিফ হোসেন। তিনি তাঁর দায়ের করা মামলায় ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।
এসব তথ্য জানিয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম নাসিম আজ শনিবার সকালে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও নগরকান্দা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ইশরাত জাহান। তাদের যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এরাদুল হক বলেন, আমরা গতকাল থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছি। আজ আবার সেখানে যাচ্ছি। তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবিলম্বে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী ঢাকা থেকে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে নগরকান্দার তালমার মোড়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে একটি গাড়ি সহকারী পুলিশ সুপারের। এ সময় নগরকান্দা থানার ওসি এ এফ এম নাসিম আহত হন।