দারোয়ানের চিৎকারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়
সন্ধ্যার পর বাসার দারোয়ান নোমান বাইরে এসে চিৎকার করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর উদ্ধার করা হয় মা ও ছেলের লাশ। ফ্ল্যাটের সামনের বারান্দা থেকে ছেলে ও শোবার ঘর থেকে মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবদুল করিমের প্রতিবেশীরা এসব কথা জানায়। রাজধানীর কাকরাইলের নিজ বাসায় খুন হয়েছেন মা-ছেলে। বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বাড়ির মালিক আবদুল করিম বাসায় ছিলেন না।
রাজধানীর কাকরাইলে রাজমণি-ইশা খাঁ হোটেলের বিপরীত পাশে ৬তলা একটি ভবনের ৫তলায় থাকত আব্দুল করিমের পরিবার। ভিআইপি রোডের ৭৯/১ মায়াকানন নামের বাসাটিতে নিহত গৃহকর্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওন ছাড়াও বাসায় ছিলেন গৃহকর্মী রাশিদা।
গৃহকর্মী রাশেদা বলেন, ‘ঘটনা ঘটে মাগরিবের আজানের পর। আমাকে পাকের ঘরে (রান্নাঘর) আটকে রাখছিল।’
ঘটনার পর পরই পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট এসে আলামত সংগ্রহ শুরু করে। পুলিশ বলছে, খুনিকে ধরতে তারা সব আলামত ধরে তদন্ত করছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘হত্যাকারীরা কিছু নিতে এসেছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে না। তবে বাড়ির মালিককে এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারিনি। বাসায় কী ছিল এর তথ্যও আমাদের কাছে পূর্ণাঙ্গভাবে আসেনি। সময়সাপেক্ষে আমরা বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারব।’
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির গৃহকর্মী, দারোয়ানসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।