লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নওফেল
মাত্র চারদিন আগে বাবাকে হারিয়েছেন। তাঁর বাবার কুলখানির আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানেই ঘটল এমন মর্মান্তিক ঘটনা! মারা গেল ১০। হতাহতদের দেখতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সেখানে গিয়ে তিনি নিজেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নওফেল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পায়ের চাপে পিষ্ট হয়ে ১০ জন নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগরীর জামাল খান রোডের রিমা কনভেনশন সেন্টারে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
হতাহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনা শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
হাসপাতালে এসেই তিনি হতাহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেন। এ সময় তিনি লাশ দেখতে পান। এরপরই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি আহাজারিও করতে থাকেন। এরই একপর্যায়ে কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থা হয়েছিল তাঁর।
হাসপাতালের কর্মী ও অন্যরা নওফেলকে দ্রুত ওই এলাকা থেকে বের করে নিয়ে আসেন। পরে তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নওফেলের স্বজনরা জানান, সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর নওফেলকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোররাতে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বন্দরনগরীর প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনবার নির্বাচিত এই মেয়রের মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সব স্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।