ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত, ৪ কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারের কলেজছাত্র সাইদুর রহমান শাকিলকে কুপিয়ে বাঁ হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের চার কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে ঢাকা জেলা কমিটি।
এদিকে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি সাভার পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকিন ইয়াসার ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
শাকিলের পরিবার, সহপাঠী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অংশ না নেওয়ায় ইয়াকিন ইয়াসারের পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাধারণ ছাত্রদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। নির্যাতনের প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্ররা গতকাল বুধবার দুপুরে মিছিল বের করলে ইয়াকিনের পক্ষের নেতা-কর্মীরা অতর্কিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শাকিলের বাঁ হাত গুরুতর জখম হয়। হামলায় আরো চার ছাত্র আহত হয়। তাদের সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাকিল শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনায় শাকিলের মা শাহনাজ বেগম বুধবার ইয়াকিনসহ ছাত্রলীগের ২১ নেতা-কর্মীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন। এর পর থেকেই মামলা তুলে নিতে শাকিলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া জানান, মামলার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। কাজী শরফুদ্দিন সাদ, সাইদুর রহমান, রাকিব ও মৃদুল আহমেদ মমিন নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলার ঘটনার পর ইয়াকিন পলাতক।
এদিকে ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরানুল হক ইমু বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এটিভিকে জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।