স্ত্রী অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা : সিদ্দিকুর
সিদ্দিকুর রহমানের সামনে আবার কঠিন পরীক্ষা। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে তিনটি টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন দেশের সেরা গলফার। প্রায় এক মাসের সফরে নববধূকে পাশে পেয়ে তিনি অনুপ্রাণিত। শুক্রবার রাতে ঢাকা ছাড়ার আগে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ফোনে নতুন জীবন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, গত বছরের ব্যর্থতার কারণসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে এনটিভির সঙ্গে কথা বললেন সিদ্দিকুর।
নতুন বছরে নতুন জীবনে প্রবেশ করেছেন। আপনাকে শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ। ভালো লাগছে আপনার আন্তরিকতায়।
মাত্র বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। কী মনে হচ্ছে, শুভ কাজটি আপনার ক্যারিয়ারে কতটা প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে?
দেখুন, বিয়ে সবার জীবনেই একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। আর দশজনের মতোই আমিও আশা করি বিয়ের মাধ্যমে আমার জীবন আরো সুখের হবে। আশা করছি, স্ত্রীর সহযোগিতায় আরো অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।
গত বছর চোট অনেক ভুগিয়েছিল আপনাকে। এখন কী অবস্থা?
মাত্রই চোট থেকে সেরে উঠেছি। গত বছর কোমরের হাড়ে চোট পেয়েছিলাম। প্রায় ছয় মাস এই চোটের সঙ্গে আমাকে লড়াই করতে হয়েছে, নিয়মমাফিক চলতে হয়েছে। এখন অবশ্য পুরোপুরি সুস্থ। আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না।
চোট থেকে সেরে উঠে সাফল্যের ব্যাপারে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী?
গলফের জন্য কোমরের শক্তি ভীষণ জরুরি। কোমরে কোনো সমস্যা থাকলে একজন গলফারের পক্ষে কোনোভাবেই ভালো করা সম্ভব নয়। তবে এখন আমি পুরোপুরি সেরে উঠেছি। তাই সাফল্যের ব্যাপারেও আশাবাদী।
এই চোটের জন্যই কি গত বছর তেমন সাফল্য পাননি?
হ্যাঁ, একদম তাই। চোট নিয়েই গত বছর চার-পাঁচটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু ভালো করতে পারিনি। আগেই নাম অ্যান্ট্রি করেছিলাম বলে খেলতে বাধ্য হয়েছি।
এ বছর কেমন যাবে বলে মনে হচ্ছে?
নতুন বছরের শুরুতে ঢাকায় দুটি শিরোপা জিতেছি। সেই সাফল্যের সৌরভ নিয়ে বিদেশে তিনটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছি। আশা করি দেশের গলফপ্রেমীদের হতাশ করব না।
টানা তিনটি টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন। কেমন চাপ বোধ করছেন?
না, তেমন চাপ নেই। এই তিনটি টুর্নামেন্টেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ভারতের হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন থেকে তো আমার দ্বিতীয় এশিয়ান ট্যুর শিরোপাও এসেছিল।
এই সফরে স্ত্রী আপনার সঙ্গে থাকছেন। মাঠে একজন শুভানুধ্যায়ীর উপস্থিতি নিশ্চয়ই অনুপ্রাণিত করবে।
তা তো করবেই। স্ত্রী সঙ্গে থাকায় বাড়তি প্রেরণা পাব। এই প্রেরণা আমার শক্তি হিসেবেও কাজ করবে।
এশিয়ান ট্যুরে আপনার দ্বিতীয় ও শেষ শিরোপা এসেছিল ২০১৩ সালের নভেম্বরে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেনে। এবারও ভারতের এই টুর্নামেন্টে আপনি অংশ নিচ্ছেন। শিরোপা ধরে রাখতে পারবেন তো?
প্রত্যেক গলফারই মাঠে নামেন শিরোপার জন্য। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। শিরোপা ধরে রাখতে চেষ্টার কোনো কমতি থাকবে না। প্রস্তুতিও ভালো হয়েছে। দেখা যাক সাফল্য পাই কিনা।
গলফ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন আমার ভাবনা জুড়ে রয়েছে যত বেশি সম্ভব খেলে যাওয়া এবং সাফল্য পাওয়া।
বিশ্ব গলফে বাংলাদেশকে পরিচিত করার পেছনে আপনার সবচেয়ে বড় ভূমিকা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের গলফকে কোথায় দেখতে চান?
এশিয়ার বিভিন্ন টুর্নামেন্টে আমাদের গলফাররা এখন খেলছেন। আমি নিজে বিশ্বকাপ গলফও খেলেছি। আশা করি একদিন আমাদের গলফাররা বিশ্বের সেরা গলফারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলবেন। হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয়।