অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সেরেনার ষষ্ঠ শিরোপা
সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে আরেকবার ধরাশায়ী মারিয়া শারাপোভা। ফাইনালে রুশ তারকাকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতে নিয়েছেন র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে থাকা সেরেনা। এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের জমজমাট লড়াইয়ের ফল ৬-৩, ৭-৬ (৭/৫) ।
বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দুই টেনিস-কিংবদন্তিকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন সেরেনা। এটা মার্কিন তারকার ১৯তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। একটি কম নিয়ে তাঁর ঠিক পরেই মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা ও ক্রিস এভার্টের অবস্থান। ২২টি শিরোপা নিয়ে তাঁদের চেয়ে ওপরে আছেন স্টেফি গ্রাফ।
এসব অবশ্য ১৯৬৮ সালে ‘উন্মুক্ত যুগ’ শুরু হওয়ার পরের হিসাব। এই ‘যুগ’ শুরু হওয়ার আগে ২৪টি শিরোপা জিতেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্ট। ১৯৬৮ সালে গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টগুলোতে পেশাদার খেলোয়াড়দের অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই শুরু হয় টেনিসের ‘উন্মুক্ত যুগ’।
২০০৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে উইম্বলডনের ফাইনালে সেরেনাকে হারিয়েই ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন শারাপোভা। সে বছর সেরা আটজনের অংশগ্রহণে ট্যুর চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও সেরেনাকে হারের তেঁতো স্বাদ দিয়েছিলেন এই রুশ-সুন্দরী। কিন্তু তারপর আর কখনো সেরেনা-বাধা পেরোতে পারেননি শারাপোভা। শনিবারের ম্যাচটি ছিল দুজনের ১৯তম লড়াই। এর মধ্যে ১৭-বারই বিজয়ীর নাম সেরেনা।
২০০৫ ও ২০০৭ সালেও সেরেনার কাছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হার মানতে হয়েছিল শারাপোভাকে। প্রথমবার সেমিফাইনালে, পরেরবার ফাইনালে। ২০১০ সালের উইম্বলডন ও ২০১৩ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও শারাপোভাকে হতাশ করেছিলেন সেরেনা। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের ফাইনালে সেরেনা একেবারে ৬-০, ৬-১ গেমে উড়িয়ে দিয়েছিলেন রুশ প্রতিপক্ষকে।
এবারও শিরোপার কাছাকাছি এসে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো শারাপোভাকে। তবে ম্যাচ শেষে সেরেনাকে অভিনন্দন জানাতে ভোলেননি তিনি, ‘ইতিহাস গড়ার জন্য সেরেনাকে অভিনন্দন। তাঁর বিপক্ষে খেলতে পারা সত্যিই সম্মানের ব্যাপার। আমি তাঁকে দীর্ঘদিন হারাতে পারিনি। কিন্তু তাঁর বিপক্ষে খেলতে আমি খুবই পছন্দ করি। কারণ তিনি সেরা আর একজন টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে আপনি সব সময় সেরার বিপক্ষেই খেলতে চাইবেন।’
সেরেনাও প্রতিপক্ষের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত। ট্রফি হাতে শুরুতে ঈশ্বরকে স্মরণ করেই মেতে উঠলেন শারাপোভা-বন্দনায়, ‘আমি মারিয়াকে অভিনন্দন জানাতে চাই। সে আজ দারুণ খেলেছে। আমাকে বারবার পরীক্ষায় ফেলেছে। সে আমাদের অসাধারণ একটা ফাইনাল উপহার দিয়েছে। এই ম্যাচ মেয়েদের টেনিসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’