লিগে জাহিদের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা
সদ্য শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের দলবদল। সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে শক্তিশালী দল গঠনের আপ্রাণ চেষ্টাই করেছে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। কিন্তু এই ডামাডোলের বাইরে থেকে গেছেন জাতীয় দলের তারকা ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন। গত ৩০ জানুয়ারি দলবদলের সময় শেষ হয়ে গেলেও জাহিদের নাম নিবন্ধিত হয়নি। এবারের মৌসুমে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা চলছে।
গত মৌসুমে মোহামেডানের সঙ্গে মোটা অঙ্কের চুক্তি করেও নাকি প্রিমিয়ার লিগে ঠিকমতো খেলেননি জাহিদ। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে এ অভিযোগ করে টাকাও ফেরত চেয়েছিল ক্লাবটি। বাফুফের শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তির অর্ধেক টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি জাহিদ।
আর এতেই ঘনীভূত হয় সমস্যা। মোহামেডানকে টাকা ফেরত না দিয়েই শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের হয়ে বাফুফেতে নাম জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। গত ৩০ জানুয়ারি দলবদলের সময়ও শেষ হয়ে গেছে। এবারের মৌসুমে দলবদলের জন্য তাঁর নাম নিবন্ধন হয়নি এখনও।
তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন, দলবদলের সময় শেষ হয়ে গেলেও সুযোগ একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। তবে এ জন্য জাহিদকে টাকা ফেরত দিতে হবে। তবেই সে অন্য ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও জাহিদের সঙ্গে কথা বলেছি, ক্যারিয়ারের স্বার্থেই দ্রুত টাকাটা ফেরত দেওয়া উচিত তার। আশা করছি সে তা করবে, তা না হলে লিগে তার খেলা অনিশ্চিত হয়ে যাবে।’
মোহামেডানও এই টাকা মওকুফ করতে নারাজ। ক্লাবটির পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, ‘গত মৌসুমে তার সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল ৩৪ লাখ টাকা। অথচ সে চোটের অজুহাতে মাত্র পাঁচ-ছয়টি ম্যাচ খেলেছে। অনেক সময় সে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলতে চায়নি। এ জন্য আমরা বাফুফের কাছে অভিযোগ করেছি। বাফুফে বিষয়টি সুরাহা করে অর্ধেক টাকা ফেরত দিতে বলেছে। কিন্তু জাহিদ এখনও আমাদের টাকা ফেরত দেয়নি। আমরা চাই, সে দ্রুত টাকাগুলো ফেরত দেবে।’