শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই সেমিতে বাংলাদেশ
সেমিফাইনালে ওঠার জন্য ড্রই যথেষ্ঠ ছিল। না ড্র নয়, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েই শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে সোমবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে মামুনুলরা জিতেছে ১-০ গোলে।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শুক্রবার শেষ চারের খেলায় তারা মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে।
বাংলাদেশ এক গোলের জয় পেলেও আরো বড় ব্যবধানে জিতলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই আধিপত্য দেখিয়েছে লাল-সবুজরা। অবশ্য গোলের দেখা পেতে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে স্বাগতিকদের।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে স্বাগতিকদের উল্লাসে মাতিয়ে তোলেন মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। জাহিদ- এমিলির পা ঘুরে বল পেয়ে অসাধারণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই একটি গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এর আগে ১১ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ। দারুণ সুযোগটি হাতছাড়া করেন ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকেই নেওয়া শট লঙ্কান গোলরক্ষক সুজন প্যারেরা রুখে দেন। অথচ তখন জাহিদের সামনে গোলরক্ষক ছাড়া আর কেউই ছিলেন না।
পাঁচ মিনিট পর আরো একটি চমৎকার সুযোগ নষ্ট করেন স্বাগতিকরা। বক্সের মধ্যে জাহিদের তুলে দেওয়া বলে মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট মাথা ছোঁয়ালেই গোল হতো, কিন্তু পারেননি তরুণ এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধের বাকি সময়েও ছিল বাংলাদেশের প্রাধান্য, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। অবশেষে ৪০ মিনিটে মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্টের লক্ষ্যভেদে উল্লাসে মেতে উঠে পুরো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। ৬০ মিনিটে মিডফিল্ডার সোহেল রানার ক্রসে স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি পা ছোঁয়ালেই গোল হতো। কিন্তু এমিলি বলে পা ছোয়ানোর আগেই লঙ্কান এক ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে শ্রীলঙ্কাও। পেনাল্টি পেয়েও গোল না করতে পারার আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে লঙ্কানদের। ৬৭ মিনিটে বক্সের মধ্যে বাংলাদেশ গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল লঙ্কান স্ট্রাইকার ইশানকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার মিডফিল্ডার রোশানের পেনাল্টি শট রুখে দেন সোহেল।
শ্রীলঙ্কা আগের ম্যাচে মালয়েশিয়ার কাছে দুই গোলে হেরে যাওয়ার ফলেই বাংলাদেশের সমীকরণটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল। আজ ড্র করলেই সেমিতে উঠত তারা। কিন্তু শেষপর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে মামুনুলরা।