টানা চার কার্যদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী
টানা চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। আজ রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক বাড়লেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ছিল মিশ্রভাব।
ডিএসইতে আজ মোট ৩০৯টি কোম্পানির পাঁচ কোটি ৭৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭১টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ ২২১ কোটি নয় লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৬ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা কম। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ১২৫টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টির।
ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪৭০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৪৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে সিএসইতে ১৯ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। লেনদেন হওয়া মোট ২৩১টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ৮১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির।
টাকার পরিমাণে লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি সিকিউরিটি হলো ইফাদ অটোস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, এমজেএল বিডি, এসিআই, সামিট অ্যালায়েন্স, এনবিএল, সিএনএ টেক্সটাইল, আমরা টেকনোলজিস ও অগ্নি সিস্টেমস।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি সিকিউরিটি হলো- সপ্তম আইসিবি, ফার কেমিক্যাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সিনোবাংলা, আরএকে সিরামিকস, রূপালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, দেশবন্ধু পলিমার, ইফাদ অটোস ও এস আলম কোল্ড রোল্ড।
অন্যদিকে বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হলো—জিএসপি ফাইন্যান্স, সিএনএ টেক্সটাইল, আজিজ পাইপস, এআইবিএল প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, এফএএস ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, জেমিনি সি ফুড, পূবালী ব্যাংক, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স ও শাহজিবাজার পাওয়ার।