ইরানের ‘মেসি’ প্রস্তুত বিশ্বকাপ মাতাতে
গুগোলে যদি ‘ইরানের মেসি’ লিখে কেউ অনুসন্ধান করে তাহলে এক যুবকের ছবি ভেসে আসবে কম্পিউটারের স্ক্রিনে যে দেখতে কি না অনেকটা লিওনেল মেসির মতোই। তবে আরেকটু পরিশ্রম করে যদি কেউ ভালোভাবে ঘেঁটে দেখে তবে নিশ্চিত এমন এক একজনের পরিচয় মিলবে যার মুখাবয়বের সঙ্গে মেসির মিল নেই, তবে ইরানি এই ফুটবলারের খেলার ধরনটা একদমই আর্জেন্টাইন অধিনায়কের মতো।
ইরানের জাতীয় ফুটবল দলের এই ফরোয়ার্ডের নাম সরদার আজমুন। ইরানি সমর্থক ও সাংবাদিকরা আদর করে যাকে ডাকেন দেশটির ‘মেসি’ বলে। তবে সেই আজমুনই কিন্তু বিশ্বাস করেন না তাঁর খেলা মেসির মতো, বরং বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের নামে তাঁকে ডাকা হয় দেখে তিনি অবাকই হন। দৌড় কিংবা ড্রিবলিংয়ের ক্ষেত্রে হুবুহু মেসি মনে হলেও বলে কিক করতে গেলে এই আজমুনই বনে যান একদম সুইডিশ কিংবদন্তি জালাতান ইব্রাহিমোভিচ।
রাশিয়ার বিশ্বকাপে ইরানকে তুলে আনার পেছনে এই ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে দিতে হবে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব। বাছাইপর্বে ইরানের হয়ে তো সর্বোচ্চ চার গোল করেছেনই, সঙ্গে এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বকাপে যাওয়ার লড়াইয়ে হয়েছেন পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা। সব মিলিয়ে ৩১ ম্যাচে মাঠে নেমে ২৩ গোল করে ইরানের হয়ে ম্যাচপ্রতি গড় গোলেও এগিয়ে এই আজমুনই।
এমনিতেই আজমুন দলের ট্রাম্পকার্ড। তাঁর সাথে আসছে ২০১৮ বিশ্বকাপে কিন্তু শুধু ইরানের হয়েই নয় বরং এই ফরোয়ার্ডের আলোয় উদ্ভাসিত হতে পারে গোটা আসরটাই। কেননা রাশিয়ান ফুটবল লিগের অন্যতম চেনামুখ এই আজমুন। রুবিন কাজানের আক্রমণভাগটা শেষ এক বছর ধরেই সামলে যাচ্ছেন তিনি। ফলে চেনা পরিবেশে তাঁর কাছ থেকে দারুণ কিছু আশা করতেই পারে ইরান।
ইতিমধ্যেই জাতীয় দল আর ক্লাবের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সে নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছেন ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল, ইতালীয় জায়ান্ট এসি মিলান ও ল্যাজিওর মতো বড় বড় দলের। ফলে রাশিয়া বিশ্বকাপ যদি পায়ের জাদুতে মাতাতে পারেন আজমুন, তবে তাঁর দলের জন্য তো হবে দারুণ কিছুই। সঙ্গে তরুণ এই ফরোয়ার্ডের জন্য খুলে যাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (ইপিএল) কিংবা সিরি ‘এ’র মতো বড় প্রতিযোগিতার দরজাও।