ম্যারাডোনার ওপর কেন এত ক্ষোভ সেই লাইন্সম্যানের স্ত্রীর?
১৯৮৬ বিশ্বকাপের ‘হ্যান্ড অব গড’-এর কথা নিশ্চই ভুলে যানটি ফুটবলপ্রেমীরা। আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা ডিয়েগো ম্যারাডোনার সেই অবিশ্বাস্য গোল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেয় ইংল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলেই সেই গোলটি নিয়ে অল্প-বিস্তর আলোচনা হয়েই থাকে। রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ভিন্ন কারণে সে গোলটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
ম্যাচের সে সময় লাইন্সম্যান ছিলেন বুলগেরিয়ান বগডন ডশেভ। ম্যারাডোনার সে গোলটি করার সময় তিনি পতাকা তুলেননি কেন, তা নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন আসে। কেউ কেউ বলে থাকেন, সেই ল্যাইন্সম্যান বুঝেছিলেন সেটি হ্যান্ডবল ছিল। তিনি নাকি ইচ্ছে করেই পতাকা তোলেননি। তিনি আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন অনেকেই।
এসব কারণে ডশেভকে সারাজীবন সমালোচনা শুনতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে খলনায়কও বলা হতো সে সময়।
সেই আলোচিত লাইন্সম্যান গত বছর মে মাসে মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর এক বছর পার হতে চলছে। ঠিক এই সময় ডশেভের স্ত্রী এমিলি ম্যারাডোনার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে ডশেভের স্ত্রী বলেন, “সেই ম্যাচে যিনি রেফারি ছিলেন, তিনি আমার স্বামীকে (বগডন ডশেভ) স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘মাঠে যা সিদ্ধান্ত আমিই নেব। তোমাকে কিছু করতে হবে না।’ এ জন্য সে রেফারিকে আমি কোনো দিন ক্ষমা করব না। ম্যারাডোনাকেও নয়।”
এই ঘটনার পর নাকি সেই লাইন্সম্যানের পারিবারিক জীবন হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে সেই ল্যাইন্সম্যানের স্ত্রী বলেন, ‘শুনে অবাক হবেন, সেই বিশ্বকাপের পর ডশেভের বন্ধুরা তাঁর সঙ্গে কথা বলা ছেড়ে দিয়েছিল। সারাজীবন এর জন্য তাঁকে কথা শুনতে হয়েছিল।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে সেই গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা। দিনটি ছিল ২২ জুন। সে ম্যাচে পরে একক প্রচেষ্টায় নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন তিনি। সেদিন মেক্সিকো সিটির আজটেকা স্টেডিয়ামে এক লাখ ১৪ হাজার দর্শক মোহিত হয়েছিলেন ম্যারাডোনা ম্যাজিকে।
ছয়-গজ বক্সে লাফিয়ে ওঠেন ম্যারাডোনা হেড করার জন্য। কিন্তু হেড নয়, তিনি গোল করেন হাত দিয়ে। এমনই নিখুঁত ছিল তার প্রচেষ্টা যে, তিউনিশিয়ার রেফারি আল বিন নাসের বুঝতেই পারেননি। বুলগেরিয়ান লাইন্সম্যান বগডন ডশেভও পতাকা তোলেননি।