এফডিসিতে অপুর জন্য শাকিব খানের মারধর
নায়িকা অপু বিশ্বাসের জন্য নায়ক শাকিব খান এফডিসির শিল্পী সমিতি থেকে বেরিয়েই সাউন্ড স্টুডিওর সামনে পাগলের মতো মারধর করেন নেকাব্বরকে। নেকাব্বর হলেন মোকাব্বর পরিবহন সংস্থার মালিক মোকাব্বরের ছোট ভাই। নেকাব্বরের বুকে পা রেখে শাকিব খান বলেন, ‘তোর ভাই মোকাব্বরকে ফোন করে আমার সাথে কথা বলতে বল।’ এরই মধ্যে পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর চিৎকার করে বললেন, ‘কাট। অনেক হয়েছে আজ প্যাকাপ। রাত ৯টা বেজে গেছে, গেরেজে ১২টি বাস ভাঙচুর করলে রাত ২টাতেও শুটিং শেষ হবে না।’
গতকাল বুধবার (১১ জানুয়ারি ২০১৫) রাত ৮টার দিকে এফডিসির সাউন্ড স্টুডিওর সামনে এভাবেই ‘মাই ডার্লিং’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছিলেন শাকিব খান। আর তিনি যাঁকে মারধর করছিলেন তিনি আসলে নেকাব্বর নন, সহশিল্পী তনু। আর মোকাব্বরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিত হাসান।
শুটিং শেষে শাকিব নিজের গাড়িতে চড়ে বাসায় চলে যান। আর পুরো ইউনিট নিজেদের মালামাল গুছাতে শুরু করলেন। সবাইকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। কারণ শুটিং চলেছে সারাদিন।
পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর ছবির গল্প সম্পর্কে বললেন, “‘মাই ডার্লিং’ ছবির দৃশ্য অনেক দিন ধরেই শুটিং করছি এফডিসির বিভিন্ন জায়গায়। গত বুধবার (২৮ জানুয়ারি ২০১৫) এফডিসির চার নম্বর ফ্লোরে শাকিব আর অপুর বিয়ের শুটিং হলো। আজ করলাম একটা অ্যাকশন দৃশ্য।’’
গতকালের শুটিং দৃশ্যে দেখা যায়, শাকিব পাগলের মতো খুঁজছে অমিত হাসানকে। মোকাব্বর পরিবহন সংস্থার মালিক অমিত হাসান। এই পরিবহন সংস্থার গ্যারেজ বানানো হয়েছে সাউন্ড স্টুডিওর সামনের জায়গাটিকে। অমিত হাসানের ছোট ভাই তনু গ্যারেজ দেখাভাল করেন। শাকিব জানতে পারেন, তনুকে ধরতে পারলে পাওয়া যাবে অপু বিশ্বাসের খবর। তখনই খুঁজে বের করে তনুকে পিটিয়ে বাধ্য করে অমিত হাসানের নম্বরে ফোন করতে। এই দৃশ্যই আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের ছবিতে।
পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর বলেন, “হিন্দি ছবির বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ডাকে আন্দোলন চলছিল। এ কারণে ‘মাই ডার্লিং’ ছবির কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। কারণ আগে থেকেই আমার সেট তৈরি ছিল, কিন্তু শুটিং বন্ধ রেখেছিলাম।” তবে হিন্দি ছবি আর চালানো হবে না তথ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসের পর আবার শুটিং শুরু করেছি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কক্সবাজার যাবার কথা ছিল, দেশের অবস্থার কারণে যেতে পারিনি।” পরিচালক আশা প্রকাশ করে বলেন, “অপু ও শাকিবকে নিয়ে এর আগে আমি একাধিক ছবি করেছি, সব ছবিই দর্শক ভালোভাবে নিয়েছে। এ ছবিতে তাঁদের আমি অন্যভাবে উপস্থাপন করেছি। দর্শক ‘মাই ডার্লিং’ ছবিতে শাকিব-অপুকে অন্য রূপে দেখতে পাবেন।”