ভালোবেসে কাগজের টুকরো দিলেও ভালো : পড়শি
পড়শি এ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। কেবল গানই নয়, আরো বহু গুণে গুণান্বিত তিনি। পাশাপাশি ভালো ছবি আঁকেন, লেখেন কবিতাও। আজ ভালোবাসার দিনে তবে প্রিয়জনকে কী দিয়ে ভালোবাসা জানাবেন পড়শি- মিষ্টি একটা গান, কবিতা নাকি হাতে আঁকা ছবি? একান্ত ভুবনের হালচাল নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে পড়শির।
প্রশ্ন : আপনার কি ভালোবাসার মানুষ রয়েছে?
উত্তর : (হাসি) সত্যিকার অর্থে ওভাবে তো কেউই নেই। আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন আর শুভাকাঙ্ক্ষীদেরই আমি অনেক ভালোবাসি।
প্রশ্ন : ভালোবাসা দিবসে কীভাবে ভালোবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করবেন?
উত্তর : আমি একটু কাব্যিক ভাষায় ভালোবাসা জানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কাজেই ভালোবাসার কথা সবাইকে কবিতার ভাষাতেই জানাবো।
প্রশ্ন : আপনি কবিতাও লেখেন?
উত্তর : চেষ্টা করি। তবে আমার লেখা কবিতাগুলো গান হয়ে যায়!
প্রশ্ন : তা কবিতা লেখা হয় কখন?
উত্তর : সে রকম কোনো ধরাবাঁধা সময় নেই। যখন লিখতে মন চায় তখনই লিখি। মন ভালো থাকলেও লিখি, খারাপ থাকলেও লিখি।
প্রশ্ন : অবসরে কী করেন?
উত্তর : আমি ছবি আঁকি। কারো ওপর রাগ হলে চুপচাপ ঘরে বসে ছবি আঁকি। আবার যখন খুব মন খারাপ হয় তখনো ছবি আঁকি। ছবি আঁকতে অনেক ভালো লাগে। যখন গানে মনোযোগ দিতে পারি না, তখনই আসলে ছবি আঁকতে বসে যাই।
প্রশ্ন : কী ধরনের ছবি আঁকতে ভালো লাগে?
উত্তর : উম্ম্, এটার আসলে কোনো ঠিকঠিকানা নেই। যখন যা মনে চায় তাই আঁকি। মানে আঁকার চেষ্টা করি আর কী!
প্রশ্ন : আপনার পছন্দের নায়ক কে?
উত্তর : উফ...! আমার পছন্দের নায়ক অনেক, অনেক। তবে আমি ছোটবেলায় সালমান শাহ্'র ভীষণ ভক্ত ছিলাম। আমার জীবনে নায়ক সালমান শাহ্'র আলাদা একটি জায়গায় রয়েছে। সালমান শাহ্ অভিনীত ছবির কিছু গান আমি কাভার করেছি। সেসব গান গাইতে গেলে মাঝে মাঝে আমার চোখে পানি চলে আসে। আমি অনেক শ্রদ্ধা নিয়ে এ গানগুলো গাই।
প্রশ্ন : সালমান শাহর কোন ছবিটি আপনার সবচেয়ে প্রিয়?
উত্তর : ‘আনন্দ অশ্রু’।
প্রশ্ন : আপনার জীবনে প্রেম সত্যিই কি আসেনি?
উত্তর : সত্যি বলতে কি, প্রেম হয়েছে। সেটা হারমোনিয়ামের সঙ্গে। আমার হারমোনিয়ামই আমার প্রথম প্রেম।
প্রশ্ন : আপনাকে প্রথম হারমোনিয়াম কে উপহার দিয়েছিলেন?
উত্তর : আমি যখন খুব ছোট, তখন আমার নানু অধ্যাপক কোহিনূর খান মীরা আমাকে হারমোনিয়াম উপহার দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন : ভালোবাসা দিবসে কী ধরনের উপহার পেতে ভালো লাগে?
উত্তর : আমার আসলে উপহার পেতেই ভালো লাগে। সেটা যেকোনো সময়ই হোক আর যাই হোক। আমাকে যদি কেউ ভালোবেসে কাগজের টুকরাও দেয়, সেটাও আমার কাছে অনেক প্রিয়।