কবির ক্রিকেট দর্শন
পুনশ্চ ভারতের মুখোমুখি পাকিস্তান
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ হয়েছিল। ১৭ দিন স্থায়ী ওই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল মুহম্মদ আইয়ুব খান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।
ভারতের বর্ষীয়ান প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে পরের দিন তাসখন্দের হোটেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
৫০ বছর আগের কথা কিন্তু আমার কাছে মনে হয় সেদিনের কথা। আমার সবই স্পষ্ট মনে আছে। মাঝখানের ৫০ বছর যেন কিছু নয়।
২০১৫ সাল হচ্ছে সেই পাক-ভারত যুদ্ধের ৫০ (অর্ধ শত) পূর্ণ হওয়ার বছর। ওই যুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তিতে আর একটা যুদ্ধ না হলে কি চলে? না, চলে না। তাই কিছুটা আশ্চর্যজনকভাবেই, হয়তো সবার অজ্ঞাতসারেই কিছুক্ষণ আগে সেই নির্দোষ-যুদ্ধটি শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম কুরুক্ষেত্র অ্যাডিলেড ওভাল ক্রিকেট ময়দানে।
এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত। এই লেখা যখন লিখছি, তখন ভারতের সংগ্রহ ৩৪/১ [রোহিত শর্মা কট মিসবাহ, বল সোহেল খান, ১৬]
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটও যৌথভাবে এবারের মতোই আয়োজিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সেবারও টস জিতে প্রথমে ব্যাট করেছিল ভারত। ৪৯ ওভারের ওই ম্যাচে ভারত সংগ্রহ করেছিল মাত্র সাত উইকেটে ২১৬ রান। শচীন টেন্ডুলকার ছিলেন ৫৪ নট আউট। ভারতের ওই অল্প সংগ্রহ তাড়া করে পাকিস্তান ১৭৩ রানে অল আউট হয়ে ম্যাচটি হেরে যায়। ম্যাচ জিতে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপটি জিতেছিল পাকিস্তান। ম্যান অব দি ম্যাচ হন শচীন টেন্ডুলকার।
এবার টসের পর সুনীল গাভাস্কার ও ওয়াসিম আকরাম-দুজনই বলেছেন, ইট ইজ এ ভেরি গুড টস টু উইন।
তবে কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে এবারও?
দেখা যাক ভারতের বিরুদ্ধে কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচ জিততে না পারার বিশ্ব রেকর্ড পাকিস্তান এবার ভাঙতে পারে কি না!
[ সর্বশেষ স্কোর : ১৭ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৮২/১]
সকাল ১০-৫০ মি.
১৫-০২-১৫