স্কয়ার ড্রাইভ
অভিজ্ঞতাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অভিজ্ঞতা ও দলীয় সামর্থ্যে প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে তারা। কিন্তু জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের লড়াকু মানসিকতা কিছুটা সময়ের জন্য প্রোটিয়াদের ভুগিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতাই দুদলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
শুরুতে ৮৩ রানে চার উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে যে ধাক্কা জিম্বাবুয়ে বোলাররা দিয়েছিল পরে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকার কারণেই তা সম্ভব হয়নি। জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলারের মারমুখী ব্যাটিং জিম্বাবুয়ে বোলারদের ভীষণ ‘নার্ভাস’ করে দিয়েছে।
এই দুই ব্যাটসম্যান দুটি অসাধারণ সেঞ্চুরি করেছেন। ইনিংস দুটি সত্যিই দেখার মতো। কেউ যদি তাঁদের ব্যাটিং না দেখে থাকেন তাহলে আমি বলব তাঁরা অনেক বড় কিছু মিস করেছেন। এমন বিধ্বংসী ব্যাটিং এই বিশ্বকাপে আবার দেখা যাবে কি না সন্দেহ। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মিলার-ডুমিনি তো রেকর্ডও গড়েছেন।
৩৪০ রানের বিশাল টার্গেট মাথায় নিয়ে জিম্বাবুয়ে শুরুটা খারাপ করেনি। প্রথম ২৫ ওভার পর্যন্ত তারা ম্যাচেও ছিল। কিন্তু এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং আক্রণাত্মক ফিল্ডিংয়ের কারণে ম্যাচটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত ২৭৭ রান করে শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক এবি ডি ভিলিয়ার্স অসাধারণ দুটি ক্যাচ ধরেছেন, যা ম্যাচের শেষ দিকে প্রোটিয়াদের নিয়ন্ত্রণ আরো প্রতিষ্ঠা করেছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ঔজ্বল্য ছড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সহজ জয় তুলে নিয়েছে। জিম্বাবুয়ে শুরুতে ধাক্কা দিলেও দক্ষিণ আফ্রিকা বিপদ থেকে বেরিয়ে এসেছে অভিজ্ঞতা দিয়ে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু: জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।