নিউইয়র্কের মতো ঢাকায় একক প্রতিষ্ঠান চান অর্থমন্ত্রী
বৃহত্তর ঢাকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমন্বিত করার জন্য নিউইয়র্কের মতো একটি একক পরিচালনা সংগঠনের পক্ষে মত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি আরো বলেন, ‘আশা করছি, ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারব। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু করব।’
আজ বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এটাই শেষ বাজেট।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে বৃহত্তর ঢাকার জন্য নিউইয়র্কের আদলে একটি মেট্রো যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাপূর্বক সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সমন্বিত করে একটি একক পরিচালনা সংগঠন স্থাপন করা যথাযথ হবে।’
নগর পরিবহন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরীণ সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, প্রবেশ ও নির্গমন মহাসড়কের যানজট নিরসন এবং ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। আমরা ২০১৬ সালে এটিকে হালনাগাদ করেছি। সংশোধিত পরিকল্পনায় পাঁচটি ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), তিন স্তরবিশিষ্ট রিং রোড, আটটি রেডিয়াল সড়ক, ছয়টি এক্সপ্রেসওয়ে, ২১টি ট্রান্সপোর্টেশন হাব নির্মাণ এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট-ট্রাফিক সেফটি ব্যবস্থার উন্নয়ন ও বাস পরিবহন সেক্টর পুনর্গঠনের সংস্থান রয়েছে।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গাজীপুর ও ঢাকা মহানগরীর জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার্থে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও উভয়দিকে ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহনে সক্ষম বাস র্যাপিড ট্রানজিট করিডোরের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। উত্তরা তৃতীয় ফেজ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত নির্মাণাধীন এলিভেটেড এমআরটি লাইন-৬ তথা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ পূর্ণ উদ্যমে চলছে।’