পরীমনি-মিলনের ‘বিয়ে’
জামদানি শাড়িতে বেশ লাগছিল পরীমনিকে। সবার চোখ নববধূর দিকে। পারিবারিক ভাবেই মিলনের সঙ্গে পরীকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর মিলন এমন সুন্দরী স্ত্রী পেয়ে যারপরনাই খুশি। তবে দুজনের এই বিয়ে হয়েছে রুপালি পর্দায়, বাস্তবে নয়। কথা হচ্ছিল “ভালোবাসা সীমাহীন” ছবির একটি দৃশ্য নিয়ে।
এই চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে- মির্জা পরিবারের সন্তান জায়েদকে ভালোবাসেন তালুকদার পরিবারের মেয়ে পরীমনি। তাঁদের এ ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার। একপর্যায়ে পরীমনি বিয়ে করেন মিলনকে। তখন শুরু হয় সম্পর্কের নানা টানাপড়েন। এভাবেই এগিয়ে গেছে এ চলচ্চিত্রের গল্প।
অনেক প্রতীক্ষার পর পরীমনির প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি।
চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি, জায়েদ খান ও আনিসুর রহমান মিলন। আরো অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ।
প্রথম ছবি প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনকে পরীমনি বলেন, “‘ভালোবাসা সীমাহীন’ আমার প্রথম চলচ্চিত্র। এ জন্য প্রত্যাশাও একটু বেশি। আমার লক্ষ্য ছিল সিনেমার অভিনেত্রী হওয়া। বড় পর্দাতে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ বেশি। সহজেই দর্শকের কাছে পৌঁছানো যায়। এ ভাবনা থেকেই সিনেমায় অভিনয় করছি।”
পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গত বছর অক্টোবরে ছবির কাজ শেষ হয়েছে। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে ৬ জানুয়ারি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় ছবিটি। পরে আনকাট সেন্সর ছাড়পত্রও পায় ছবিটি।
পরিচালক আরো বলেন, “ছবিটির এখন ফলাফলের পালা। আর এ ফলাফল নির্ভর করছে দর্শকদের ওপর। দেশের একটা অস্থির সময়ে ছবিটি মুক্তি দিচ্ছি এরপরও আমরা আশাবাদী কারণ পরীমনিকে ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ ছবির মাধ্যমে আমিই নিয়ে এসেছি। কোনো ছবি মুক্তির আগেই পরী হিট। সে ইতিমধ্যে দর্শকদের কাছে একটা জায়গা করে নিয়েছে। আশাকরি ছবিটি ব্যবসায়িক ভাবেও সফলতা পাবে।”
নোমান কথাচিত্রের ব্যানারের এ সিনেমায় ছয়টি রোমান্টিক গান স্থান পেয়েছে। সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছেন আলী আকরাম শুভ।