জিম্বাবুয়ের কষ্টের জয়
প্রথমে স্কটল্যান্ড, তারপর সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবারের বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী সদস্যদের যে ‘চুনোপুঁটি’ বলে হেলাফেলা করা যাবে না, স্কটিশদের পর তা বুঝিয়ে দিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। নিউজিল্যান্ডের কাছে স্কটল্যান্ড হেরেছিল তিন উইকেটে। বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ে অনেক লড়াই করে, চার উইকেটে হারিয়েছে আমিরাতকে।
নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে জিম্বাবুইয়ানদের জয়ের নায়ক শন উইলিয়ামস। বাঁ-হাতি স্পিনে আমিরাতের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা শাইমান আনোয়ারসহ দুজনকে ফেরানোর পর ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ম্যাচ-সেরার পুরস্কারও এনে দিয়েছে উইলিময়াসকে।
জিম্বাবুয়েকে ১২ বল হাতে রেখে ২৮৬ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে উইলিয়ামস ছাড়াও ভালো অবদান ব্রেন্ডন টেলর (৪৭), সিকান্দার রাজা (৪৬), ক্রেইগ আর্ভিন (৪২), ও রেজিস চাকাবভার (৩৫)।
হোঁচট খেতে-খেতে জয় পেলেও ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই হয়েছিল জিম্বাবুয়ের। কিন্তু রাজা-চাকাবভার ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৩৩তম ওভারে ১৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় গত বছর বাংলাদেশের কাছে টেস্ট-ওয়ানডে দুই সিরিজেই ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়া আফ্রিকার দেশটি।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে আর্ভিন-উইলিয়ামসের ৬২ বলে ৮৩ রানের আক্রমণাত্মক জুটি জয়ের পথে নিয়ে যায় জিম্বাবুয়েকে। ৪৩তম ওভারে আর্ভিন যখন ফিরে এলেন, জয় তখন ৩৬ রান দূরে। অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে (অপরাজিত ১৪) নিয়ে বাকি কাজ সারতে সমস্যা হয়নি উইলিয়ামসের।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শাইমান আনোয়ারের (৫০ বলে ৬৭) আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সঙ্গে খুররাম খান (৪৫), কৃষ্ণ চন্দ্রন (৩৪), স্বপ্নীল পাতিলদের (৩২) প্রচেষ্টা সাত উইকেটে ২৮৫ রানের ভালো সংগ্রহ এনে দেয় আমিরাতকে। ওয়ানডেতে এটাই আমিরাতের সর্বোচ্চ রান। আগের সর্বোচ্চ ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৪, ২০০৮ এশিয়া কাপে।