স্কয়ার ড্রাইভ
দারুণ লড়াই করল আমিরাত
ভাবতেই পারিনি আরব আমিরাতের ব্যাটসম্যানরা এত ভালো খেলবে। ছোট দলগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা আসলে পাল্টানো দরকার। বড় দলগুলোর জন্য এটা সতর্কবার্তা যে কোনোভাবেই কোনো প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখা যাবে না।
ব্যাটসম্যানদের পর আমিরাতের বোলাররাও ভালো করেছে। জিম্বাবুয়ের পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তো মনে হচ্ছিল আমিরাত জিতেও যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতায় পার পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ ষষ্ঠ উইকেটে ক্রেইগ আর্ভিন ও শন উইলিয়ামসের ৬২ বলে ৮৩ রানের জুটি। দলের কঠিন সময়ে উইলিয়ামসের ৭৬ রানের হার-না-মানা ইনিংস এক কথায় অসাধারণ।
নেলসনের মাঠটি বেশ ছোট। এ ধরনের মাঠে রান একটু বেশিই হয়ে থাকে। তারপরও আমিরাতের ২৮৫ রানকে খাটো করে দেখা যাবে না।
জিম্বাবুয়ের পেসাররা অবশ্য ভালো বল করেছে। বিশেষ করে তিন উইকেট নেওয়া তেনদাই চাতারা এবং দুই উইকেট নেওয়া সলোমন মায়ার। কিন্তু অন্য বোলাররা ভালো করতে না পারায় প্রতিপক্ষের ইনিংস বড় হয়েছে।
তবে আমিরাত হারলেও ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ে জয় পেয়েছে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর এই জয় জিম্বাবুয়েকে সামনে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।