রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে কাজ করছে যুক্তরাজ্য
নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সরকারও মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড।
আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
মূলত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে গতকাল শুক্রবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন মার্ক ফিল্ড। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে একটি বেসরকারি উড়োজাহাজে করে পৌঁছান তিনি।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তাঁদের খোঁজ-খবর নেওয়া শেষে মার্ক ফিল্ড সাংবাদিকদের জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তাঁর পরিবার শরণার্থী ছিল। ফলে রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন।
রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও মানবাধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগের সময়ে রোহিঙ্গাদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় সেদিকে আমাদের এখন বেশি মনোযোগ দিতে হবে। কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন, কিন্তু সেটা যথার্থ কোনো সমাধান নয়। তারা যেন নিজ দেশে সম্মান ও অধিকারের সাথে নিরাপদে ফিরে যেতে পারেন সমাধান হচ্ছে সেটাতে। যুক্তরাজ্য সরকার চলমান এই রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানান এই প্রতিমন্ত্রী।
শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে মার্ক ফিল্ড রোহিঙ্গা নারীদের মুখে রাখাইনে তাঁদের ওপরে চালানো বিভিন্ন রকম নির্যাতনের কথা শোনেন ও কয়েকটি ত্রাণকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ত্রাণকেন্দ্র ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাজ্যের জেন্ডার ইকুয়ালিটি বিষয়ক বিশেষ দূত জোয়ানা রোপার।
২০১৭ সালে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ফলে রোহিঙ্গারা দেশ ছাড়তে শুরু করলে প্রথম কোনো বিদেশি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মার্ক ফিল্ড সে সময় ওই রাজ্য পরির্দশন করেন।