দুই দলেরই দুঃসময় পেছনে ফেলার লড়াই
বিশ্বকাপে আরো একবার ভারতের কাছে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা। তা-ও আবার প্রথম ম্যাচেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে বিপর্যস্ত পাকিস্তান দলে অন্তঃকলহের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থা আরো খারাপ। আইসিসির সহযোগী সদস্য আয়ারল্যান্ডের কাছে ধরাশায়ী হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে তারা। শনিবার ক্রাইস্টচার্চে মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বকাপের দুই সাবেক চ্যাম্পিয়নদের এখন একটাই লক্ষ্য-হারের লজ্জা পেছনে ফেলে জয় দিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় দুই দলের অবস্থা কাছাকাছি। সর্বশেষ ১৩টি ওয়ানডের মধ্যে ১১টিতেই হেরেছে ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছে সর্বশেষ আট ম্যাচের সাতটিতে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে দুই দলেরই জয় ভীষণ প্রয়োজন।
পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের কথায় তারই ইঙ্গিত, ‘বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। এই ম্যাচে দুই দলেরই জয় দরকার।’
ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে গেলেও মিসবাহর ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬ রানের লড়াকু ইনিংস। পাকিস্তান অধিনায়কের আশা, সেদিনের ব্যর্থ সতীর্থরা আগামীতে ঠিকই জ্বলে উঠবে, ‘আশা করছি যারা ভালো খেলতে পারেনি তারা সামনে ভালো করবে। আমরা সবাই জানি তারা খুবই ভালো খেলোয়াড়। পরের ম্যাচগুলোতে তারাই হয়তো আলো কেড়ে নেবে।’
আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে যাওয়ার ধাক্কা কিছুতেই যেন কাটিয়ে উঠতে পারছে না বিশ্বকাপের প্রথম দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে সতীর্থদের প্রতি ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের হুঁশিয়ারি, ‘আয়ারল্যান্ডের কাছে হারটা বিশাল ধাক্কা ছিল আমাদের জন্য। এভাবে হেরে আমরা নিজেদের বিপদে ফেলতে পারি না। মনে রাখতে হবে, আবার হেরে গেলে আমাদের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো খুব কঠিন হয়ে পড়বে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সুখবর, পিঠের পেশির চোট কাটিয়ে সুলিমান বেন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এই বাঁহাতি স্পিনারের মাঠে নামার সম্ভাবনাই বেশি।