স্কয়ার ড্রাইভ
ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমলেই বাংলাদেশের লাভ
ঘূর্ণিঝড় মার্সিয়ার তাণ্ডবে ব্রিসবেনে এখন বিরূপ আবহাওয়া। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, শনিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে সেখানে। তাই বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ হবে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যদি হয়, তাহলে ‘কার্টেল’ ওভারের ম্যাচ হলেই ভালো। এতে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাই হবে। কারণ এমন ম্যাচে যে কোনো দলেরই জেতার সম্ভাবনা থাকে।
বাংলাদেশ জিতুক সব সময় এই কামনা করি। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে জিততে পারলে তো কথাই নেই! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারানো ভীষণ কঠিন। তা ছাড়া শক্তি-সামর্থ্যে ওদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনো তুলনাই হয় না।
ক্যানবেরা থেকে আফগান-বধের সুখস্মৃতি নিয়ে ব্রিসবেনে গিয়েছে মাশরাফিরা। প্রথম ম্যাচ জিতে তারা এখন মানসিকভাবে উজ্জীবিত। এই জয় ব্রিসবেনে বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে সাহায্য করবে।
তবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে তাদের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের সামনে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরিস্থিতিতেই পড়তে হবে। মিচেল জনসন, মিচেল মার্শ, মিচেল স্টার্ক ও জশ হেজেলউডের মতো চারজন দুর্দান্ত পেসার আছে তাদের। এদের সামলানো যে কোনো দলের জন্যই কঠিন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেওয়া মিচেল মার্শ দারুণ ফর্মেও আছেন।
তবে অস্ট্রেলীয় বোলারদের একটু সতর্ক হয়ে খেললে ব্যাট হাতে সাকিব-মুশফিকদের পক্ষে ভালো করা সম্ভব। প্রত্যেককে নিজেকে নিংড়ে দিয়ে খেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, আফগানিস্তানের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া অনেক-অনেক শক্তিশালী। জিততে হলে আগের ম্যাচের চেয়ে অনেক ভালো খেলতে হবে।
গত ম্যাচে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। আশা করছি এই ম্যাচেও সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে। তবে ফিল্ডারদের অনেক সতর্ক থাকতে হবে। কোনো সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। ক্যাচ মিস করার তো প্রশ্নই ওঠে না।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাকিব একটা সহজ ক্যাচ ফেলে দিয়েছে। শনিবার এমন হলে পুরো ম্যাচই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। কারণ এ ধরনের ম্যাচে প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটসম্যান একটা ‘লাইফ’ পেলে খেলার চেহারাই পাল্টে দিতে পারেন।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।