সাদা অস্কার
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে সংখ্যালঘু ও নারীর সংখ্যা কমছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ নাগরিক এই মন্তব্য করেছেন।
এ কারণেই টুইটারে #OscarsSoWhite নামে নতুন হ্যাশট্যাগ সৃষ্টি হয়েছে।
দুই হাজার মানুষের ওপর করা রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, ৩৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, হলিউডের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে সংখ্যালঘু বিষয়ে কোনো সমস্যা আছে। আর ৩২ শতাংশ মনে করেন, সংখ্যালঘুদের প্রতি আবেদন আছে এমন চলচ্চিত্র হলিউড কর্তাব্যক্তিদের মনে ধরে না।
জরিপে অংশ নেওয়া কৃষ্ণাঙ্গদের ৬২ শতাংশ মনে করেন, হলিউডের কর্তাব্যক্তিদের সংখ্যালঘু বিষয়ে সমস্যা আছে। তবে সংখ্যালঘু হিসেবে জরিপে নেওয়া ৪৮ শতাংশ এমন মনোভাব পোষণ করে।
নারীদের মধ্যে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের পক্ষে-বিপক্ষে প্রায় সমান মনোভাব দেখা গেছে। নারীদের ৩২ শতাংশের মতে, হলিউড কর্তাব্যক্তিদের নারীদের বিষয়ে সমস্যা আছে। তবে ২৯ শতাংশ মনে করে, সমস্যা কর্তাব্যক্তিদের নয়, বরং মানসম্পন্ন চলচ্চিত্রই কম হচ্ছে।
অস্কারের মনোনীত চলচ্চিত্র ও তারকাদের নাম ঘোষণার প্রায় এক মাস পর রয়টার্সের জরিপ করা হয়। এই মনোনয়নে অনেক ক্যাটাগরিতেই নারী বা সংখ্যালঘুদের স্থান হয়নি। মনোনয়নের সবচেয়ে বড় অমিলটি দেখা যায় কৃষ্ণাঙ্গ সমতা নিয়ে আন্দোলনকারী মার্টিন লুথার কিংয়ের আন্দোলনের ওপর করা ছবি ‘সেলমা’ নিয়ে। এটি শীর্ষ চলচ্চিত্র ও গানের জন্য মনোনীত হলেও কোনো তারকা এখানে মনোনীত হননি।
বর্তমানে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মনোনয়নের কাজটি করেন ছয় হাজার ১০০ জনের একটি দল। ২০১২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এই সদস্যদের ৯৪ শতাংশই শ্বেতাঙ্গ। ৭৭ শতাংশ পুরুষ। আর সদস্যদের গড় বয়স ৬২। এসব বিষয় অস্কারের মনোনয়নে প্রভাব পড়ছে কি না, এটি প্রশ্নসাপেক্ষ।