শর্ষেই ভূত!
এ যেন শর্ষেই ভূত! কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধ অর্থ পাচারে গ্রাহকদের সহযোগিতার কেলেঙ্কারি রটেছে। বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার জন্য ক্ষমাও চাইতে হয়েছে। ব্যবসা ভালো না হওয়ায় আগের বছরের চেয়ে প্রতিষ্ঠানের মুনাফা কমেছে ১৭ শতাংশ। কীভাবে মুনাফা হবে? যিনি হাল ধরে আছেন সেই কর্তাব্যক্তিও নাকি অপরাধী! বলছিলাম, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যাংকিং খাতের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহী স্টুয়ার্ট গালিভারের কথা। এইচএসবিসি জানিয়েছে, তাদের প্রধান বোনাস সংরক্ষণের জন্য এ হিসাব ব্যবহার করেছে।
পানামার একটি কোম্পানির কাছ থেকে গালিভার নিয়ন্ত্রিত সুইস ব্যাংকের একটি হিসাবে গত বছর ৭৬ লাখ পাউন্ড এসেছে বলে আজ গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এইচএসবিসি থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হলো। তবে ব্যাংকটি দাবি করেছে, গালিভার হংকংয়ে বসবাস করেন। সেখানে তিনি নিয়মিত কর দেন। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও তিনি কর পরিশোধ করে আসছেন।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ৫৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক স্টুয়ার্ট গালিভার ২০১১ সাল থেকে এইচএসবিসির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করছেন। হংকং থেকে প্রতিষ্ঠানটির মূল কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকায় তিনি সেখানে বসবাস করেন।
পানামার কোন প্রতিষ্ঠানটি থেকে গালিভারের সুইস ব্যাংকের হিসাবে অর্থ পাঠানো হয়েছে— তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে আজই কোম্পানিটির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৪ সাল ছিল খুবই ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বছর’। এ বছর আগের বছরের চেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ২ বিলিয়ন পাউন্ডে। আর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মুনাফা কমায় আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫ শতাংশের বেশি কমে দাঁড়িয়েছে গত আড়াই বছরে সর্বনিম্নে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কর ফাঁকিতে এইচএসবিসির হাত থাকার ঘটনা ফাঁসের পর আজ প্রথম স্টুয়ার্ট গালিভার মুখ খোলেন। এসব ঘটনার জন্য তিনি ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা’ চান। তবে একই অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধেও।