স্কয়ার ড্রাইভ
গেইলের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং
‘অবিশ্বাস্য’, ‘অসাধারণ’ শব্দগুলোও এই ইনিংস বর্ণনার জন্য কিছু নয়। যে দুর্দান্ত ব্যাটিং ক্রিস গেইল করলেন, তার প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। সত্যি, ইনিংসটি চোখে না দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন। মনে হবে যেন পুরোটাই ‘হাইলাইটস’। চোখ জুড়ানোর মতো ব্যাটিং করেছেন গেইল। এবারের বিশ্বকাপে আমার দেখা এটাই সেরা ইনিংস।
আসলে গেইলের পক্ষেই শুধু এমন ব্যাটিং করা সম্ভব। অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ বলেই তিনি এমন দুর্দান্ত রেকর্ড গড়তে পেরেছেন। বিশ্বকাপে কোনো ব্যাটসম্যানের পক্ষে এর চেয়ে বেশি রান করা ভীষণ কঠিন হয়ে পড়বে।
সেই কবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান গ্যারি কারস্টেন ১৮৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেছিলেন। দীর্ঘ ১৯ বছর ওয়ানডের সেরা টুর্নামেন্টে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল। ২০১৫ সালে এসে রেকর্ডটা ভেঙে বিশ্বকাপে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন গেইল।
তবে বিশ্বকাপে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেতে হয়তো অনেক দিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। ওয়ানডেতে এর চেয়েও বড় ইনিংস আছে, কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চ একেবারে আলাদা। এখানে এত বড় ইনিংস খেলা খুবই কঠিন।
এই বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে রান পাননি গেইল। তাই তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছিল। তৃতীয় ম্যাচে তাঁর দুর্দান্ত কীর্তিতে এখন সব সমালোচকের মুখ বন্ধ!
‘গেইল-ঝড়ে’র সামনে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। একসময় তো গেইলের সামনে ‘নার্ভাস’ মনে হচ্ছিল তাঁদের।
গেইল শুরু করেছেন সতর্কতার সঙ্গে। যখন হাফ সেঞ্চুরি করলেন, মনে হয়েছিল ভালো কিছু করবেন। কিন্তু এমন কিছু করবেন, ভাবতেই পারিনি। ৪০ ওভারের পর শুরু হয়েছে তাঁর ব্যাটিং-তাণ্ডব।
গেইলের ছন্দে ফেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সুখবর। এই ইনিংস তাঁর সতীর্থদের মনোবল বাড়িয়ে পরের ম্যাচগুলোতে অনুপ্রাণিত করবেই।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।