‘ক্যাসিনো-কাণ্ডে’ ক্ষমা চাইলেন মঈন খান
এমনিতেই মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পাকিস্তান দল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ধরাশায়ী মিসবাহর দল। এর মধ্যেই মাঠের বাইরে বিতর্ক ছড়িয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মঈন খানকে। দেশে ফিরে কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক।
মঈনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২১ ফেব্রুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৫০ রানে হেরে যাওয়া ম্যাচের আগে ক্যাসিনোতে গিয়ে সময় কাটাচ্ছিলেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শেষে তাঁকে দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
দেশে ফিরে অবশ্য অনুতাপই ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। এক বিবৃতিতে ৬৯টি টেস্ট ও ২১৯টি ওয়ানডে খেলা মঈন বলেছেন, ‘ক্রাইস্টচার্চে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে একটি ক্যাসিনোতে আমি ডিনার করতে গিযেছিলাম। ডিনারের জায়গা নির্বাচন একদমই ঠিক হয়নি। এই ঘটনা পাকিস্তানের মানুষ ও ক্রিকেট-ভক্তদের মনে কষ্ট দিয়েছে বলে আমি ক্ষমা চাইছি।’
পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের কাছেও ক্ষমা চেয়েছেন মঈন, ‘আমি এরই মধ্যে পিসিবি চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তিনি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর আমি তা মেনেও নিয়েছি।’
এর আগে পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছি। মঈন ক্রাইস্টচার্চের একটা ক্যাসিনোতে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। যদিও তাঁর দাবি, বন্ধুদের সঙ্গে রাতের খাবার খেতে সেখানে গিয়েছিলেন। আমরা তাঁকে দেশে ফিরে আসতে বলেছি। টিম ম্যানেজার নাভিদ চিমা এখন বিশ্বকাপে নির্বাচন কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও কোচ ওয়াকার ইউনিস।’
পাকিস্তান দলে ইদানীং বিতর্কিত ঘটনা নতুন কিছু নয়। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ঠিক আগে দেরি করে হোটেলে ফেরায় আফ্রিদি-শেহজাদসহ আট ক্রিকেটারকে জরিমানার টাকা গুনতে হয়েছিল। এরপর ফিল্ডিং কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে। সেগুলোর রেশ কাটতে না কাটতেই মঈনের ‘ক্যাসিনো-কাণ্ড’ অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ১৯৯২ বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।