ফলাফলের অপেক্ষায় পরীমনি
এখন পর্যন্ত কোনো ছবি মুক্তি না পেলেও আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ঢাকাই ছবির নবাগতা নায়িকা পরীমনি। নতুন পরিচালক শাহ-আলম মণ্ডলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। আর নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত 'রানা প্লাজা' ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকে মূলত আলোচনায় আসতে থাকেন তিনি। পরে হাতে আসতে থাকে একের পর এক ছবি। সেন্সর ছাড়পত্র পেয়ে মুক্তির অপেক্ষায় ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত 'পাগলা দিওয়ানা'।
শুটিংয়ের কাজ শেষ করে এডিটিং, ডাবিংয়ে আছে ১১টি ছবি। শিডিউল দেওয়া আছে ১৭টি ছবির। কথা চলছে আরো পাঁচটি ছবির। সব মিলিয়ে ৩০ টি সিনেমার নায়িকা হিসেবে ব্যস্ততম সময় পার করছেন নায়িকা পরীমনি।
রিলিজের আগে ঢাকাই ছবির প্রেক্ষাপটে আগে আর কোনো নায়িকার ক্ষেত্রে এমনটা বিরল। ২৭ ফেব্রয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাহ-আলম মণ্ডল পরিচালিত ও নায়িকা পরীমনি অভিনীত প্রথম ছবি 'ভালোবাসা সীমাহীন'।
পরীমনি অভিনীত প্রথম ছবি 'ভালোবাসা সীমাহীন' আবার পরিচালক হিসেবেও প্রথম শাহ-আলম মণ্ডল, প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, “পরীমনি ‘এসএসসি পরীক্ষার’ ফলাফলের অপেক্ষায়। এটি শুধু তার বেলায় নয়, আমারও একই অবস্থা। পরীক্ষা দেওয়ার পর যেমন একজন ছাত্র ফলের অপেক্ষা করে, আমরাও করছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আমি তাকে চলচ্চিত্রে নিয়ে এসেছি আমার প্রথম ছবিতে। তারপর পরীর ওপর চলচ্চিত্রের লোকজন প্রায় পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা লগ্নি করেছে। সবাই তাকিয়ে আছে 'ভালোবাসা সীমাহীন' ছবিতে পরী কেমন অভিনয় করেছে সেটা দেখার জন্য। তবে আমরা আশাবাদী ছবিটি ভালো ব্যবসা করবে। সবাই দোয়া করবেন আমরা যেন ‘এসএসসি পরীক্ষায়’ পাস করতে পারি।”
পরীমনির ছবির পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা। দেশে যখন হরতাল অবরোধ, সবার মনেই অনিশ্চয়তা, ভয় ও দুশ্চিন্তা। রাস্তায় বেরোলেই ভয়, কখন পেট্রোলবোমা কেড়ে নেবে সব। এ সবকিছুর মাঝেই বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি অভিনীত ও পরিচালক শাহ আলম মণ্ডলের প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ আগামী ২৭ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে । আলোচনায় থাকা পরীকে নিয়েই যেন পরিচালক-প্রযোজক সাজিয়েছেন গোটা প্রচারণা। বিশাল সব পোস্টারের পুরোটাই জুড়ে আছেন পরীমনি। এখন দেখার পালা দর্শকদের কাছে পরীমনি কেমন সারা পায়।
সম্পূর্ণ ভালোবাসার গল্প নিয়ে সাজানো এ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন শাহ আলম মণ্ডল। নোমান কথাচিত্রের ব্যানারে নির্মিত এ ছবিতে ছয়টি গান রয়েছে। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলী আকরাম শুভ।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, মির্জা পরিবারের সন্তান জায়েদকে ভালোবাসে তালুকদার পরিবারের মেয়ে পরীমনি। তাদের এ ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুই পরিবার। একপর্যায়ে পরীমনি বিয়ে করেন মিলনকে। তখন শুরু হয় সম্পর্কের নানা টানাপড়েন। এভাবেই এগিয়ে যায় এ চলচ্চিত্রের গল্প।