হতাশায় আচ্ছন্ন মাশরাফি
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফিল্ডিংয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়কের এই দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে কত ক্ষোভ-দুঃখ-হতাশা মিশে আছে, তা অনুমান করতে কারো কষ্ট হওয়ার কথা নয়। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কাছে ৯২ রানে বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে বাংলাদেশ দলের বাজে ফিল্ডিংয়ের দায় যে অনেক। তবে শুধু ফিল্ডিং নয়, বোলিং-ব্যাটিংও ভালো হয়নি। মাশরাফি অবশ্য কোনো অজুহাত দেখাননি, সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছেন নিজেদের ব্যর্থতা।
বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড বা এমসিজিতে বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ-স্টাম্পিং-রান আউটের সুযোগ নষ্ট করে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন মুশফিক-এনামুল-মুমিনুলরা। কুমার সাঙ্গাকারা ও তিলকারত্নে দিলশানের শতকে বাংলাদেশকে ৩৩৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ফিল্ডিং আর বোলিং আরেকটু ভালো হলে বাংলাদেশেরও যে জয়ের সম্ভাবনা ছিল তা ভেবে ভীষণ আক্ষেপ হচ্ছে মাশরাফির, ‘এটা মেনে নেওয়াই ভালো যে আমরা ফিল্ডিং-ক্যাচিং-বোলিংয়ে ভালো করতে পারিনি। ক্যাচগুলো নিতে পারলে ম্যাচের চেহারা হয়তো অন্যরকম হতে পারত। ২৮০ বা ৩০০ রানের মধ্যেও শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখতে পারলে হয়তো লক্ষ্যটা তাড়া করতে পারতাম। কিন্তু এখন যা-ই বলি না কেন সেটা অজুহাতই হবে।’
মাশরাফির করা দিনের চতুর্থ বলেই লাহিরু থিরিমান্নের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন স্লিপে থাকা এনামুল হক। ছয় ওভারের প্রথম স্পেলে দারুণ বল করে বাংলাদেশ অধিনায়ক দিয়েছিলেন মাত্র ২০ রান। কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে কোনো সতীর্থর কাছ থেকেই তেমন সহযোগিতা পাননি। সেই সঙ্গে বাজে ফিল্ডিংয়ের ‘প্রদর্শনী’ তো ছিলই।
ব্যাটিং-বোলিং কোনো বিভাগেই কার্যকর জুটি গড়তে না পারার হতাশাও বিদ্ধ করছে মাশরাফিকে, ‘ব্যাটিংয়ে যেমন পার্টনারশিপ থাকে, বোলিংয়েও সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পার্টনারশিপ হলে সব সময় উইকেট পড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আমরা আজকে কোনো বিভাগেই ভালো করতে পারিনি। ব্যাটিংয়ে ভালো পার্টনারশিপ করতে পারিনি, বোলিংয়েও তেমনই হয়েছে। আমরা জানি ক্যাচ ড্রপ, মিসফিল্ডিং খেলার অংশ। কিন্তু সব মিলিয়ে ম্যাচটা ভীষণ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য।’