দুই স্বাগতিকের জমজমাট লড়াই?
যতই অতীত-ঐতিহ্য থাক, ভারত-পাকিস্তান বা ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই একদমই জমেনি। দুটো ম্যাচই ছিল একপেশে। সেই ‘হতাশা’ পেছনে ফেলে ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন তাকিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে দিকে। সাফল্যের হারে অস্ট্রেলীয়দের চেয়ে যোজন-যোজন ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছে নিউজিল্যান্ড। শনিবার তারা খেলবেও ঘরের মাঠে। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে দুই স্বাগতিক দলের মধ্যে তাই জমজমাট লড়াইয়ের আশা করাই যায়।
এই ম্যাচে কে এগিয়ে থাকবে, তা অনুমান করা বেশ মুশকিল। ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, মার্টিন গাপটিল, কেইন উইলিয়ামসন। কোরি অ্যান্ডারসন, রস টেলররাও ঝড় তুলছেন ব্যাটিংয়ে। তেমনি বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছেন টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা। অভিজ্ঞ স্পিনার ড্যানিয়েল ভেট্টরি তো আছেনই।
অস্ট্রেলিয়া তো রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ভারত-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ দাপটে জেতার পর ‘চিরশত্রু’ ইংল্যান্ডকে ১১১ রানে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে তারা। বাংলাদেশ ম্যাচ তুমুল বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও অস্ট্রেলীয়দের মনোবল অটুট আছে।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য সুখবর, নিয়মিত অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক ইনজুরি কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছেন। এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা স্মরণীয় করে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ক্লার্ক বলেছেন, ‘সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য গত নয় সপ্তাহ আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। আগামীকাল (শনিবার) যখন মাঠে নামব, তখন যেন ঘণ্টায় ১০০ মাইল গতিতে দৌড়াতে পারি। তাতে আবার ইনজুরিতে পড়লেও কোনো সমস্যা নেই।’
আগের তিন ম্যাচের দল নিয়েই হয়তো শনিবার মাঠে নামবে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে মাইকেল ক্লার্ককে জায়গা দিতে বাদ পড়তে পারেন জর্জ বেইলি। প্যাট কামিন্সকেও দেখা যেতে পারে আরেক পেসার জশ হেজেলউডের জায়গায়।