৩৮টি গান কাভার করেছি : বাঁধন
বাঁধন সঙ্গীতশিল্পী। একটি প্রাইভটে ব্যাংকে চাকরিও করছেন তিনি। বাঁধন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের মেয়ে। সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া অনেক গানও গেয়েছেন বাঁধন। এ পযর্ন্ত বাঁধনের তিনটি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। খুব শিগগির নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করবেন তিনি। অ্যালবাম করার প্রস্তুতি এবং ব্যক্তিগত অনেক বিষয় নিয়ে বাঁধন কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : সঙ্গীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়ে এটা ভাবতে আপনার কেমন লাগে?
উত্তর : আমি খুবই গর্ববোধ করি। আমি তাঁর মেয়ে এটা কেউ জানলে আলাদা কদর করে। আমার কথার গুরুত্ব দেয়। এটা অনেক ভালো লাগে।
প্রশ্ন : সাবিনা ইয়াসমিনের কতগুলো গান নিজের কণ্ঠে তুলেছেন?
উত্তর : আমি স্টেজে গান করতে গেলে সবাই আমার কণ্ঠে আমার মায়ের গান শুনতে চান। এটা অনেক বড় বিষয়। নিজের গানের থেকে অন্য কারো গান গাওয়া খুব কঠিন। আমি মায়ের গানগুলো গাওয়ার সময় অনেক যত্ন নিয়ে করি। যাতে কেউ বলতে না পারে গানটি ভালোভাবে গাইতে পারিনি। আমি মায়ের ৩৮টি গান তুলে রেখেছি।
প্রশ্ন : সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে আপনার দ্বৈত সঙ্গীত কয়টি রয়েছে?
উত্তর : আমার প্রথম অ্যালবাম ‘প্রতিচ্ছবি’তে মায়ের সঙ্গে চারটি দ্বৈতকণ্ঠে গান করেছি। এই অ্যালবাম আমার একক বলা যাবে না। ১২টি গানের মধ্যে চারটি আমার নিজের করা। চারটি মায়ের। আর বাকি চারটি দ্বৈতকণ্ঠের গান।
প্রশ্ন : আপনার নতুন অ্যালবাম কবে আসবে?
উত্তর : নতুন অ্যালবামের কাজ শুরু করে দিয়েছি। অ্যালবামে নয়টি আধুনিক গান থাকবে। গানের সংখ্যা বাড়তেও পারে। এই অ্যালবামে মায়ের সঙ্গে দুটি দ্বৈতকণ্ঠের গান থাকবে। এরমধ্যে পাঁচটি গানের রেকর্ডিং আমি সম্পূর্ণ করেছি।
প্রশ্ন : আপনি কি ক্লাসিক্যাল গানে তালিম নিয়েছেন?
উত্তর : আমি ক্লাসিক্যাল গান শিখেছি। নিয়মিত গান রেওয়াজ করি। রেওয়াজ করার সময় সব ধরনের গানই করি।
প্রশ্ন : গানকে কতটুকু সময় দিতে পারেন?
উত্তর : আমি পুরোপুরি গানের মানুষ। পরিবারে সঙ্গীতচর্চা দেখেই বড় হয়েছি। চাকরি করার কারণে গানে একটু কম সময় দিতে পারি। তবে গান কখনো ছাড়তে চাই না। গান নিয়ে আমি অনেক দূর এগোতে চাই।