‘সরকারের অধীনে নির্বাচনী সরকার ও ছোট মন্ত্রিসভা অযৌক্তিক’
ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই নির্বাচনকালীন সরকার ও ছোট আকারের কোনো মন্ত্রিসভা বিএনপি মানবে না বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
নোমান বলেছেন, ‘আমরা মনে করি এই সরকারের ওপর জনগণের আর বিশ্বাস নেই। কাজেই এই সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে পারে না। এই সরকারের মাধ্যমে কোনো ধরনের এককভাবে নতুন করে, ছোট্ট করে মন্ত্রিসভা করা সেটাও অযৌক্তিক।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) আয়োজিত খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে আবদুল্লাহ আল নোমান এসব কথা বলেন।
এর আগে আজ সকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকবে না। তবে, মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে। আর অক্টোবরের মাঝামাঝি এই সরকার দায়িত্ব নিতে পারে।’
এমনকি নির্বাচনী সরকারে কারা থাকবে, আর কারা থাকবে না এমন প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেছেন, ‘সেটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলায় বেগম জিয়াকে কারারুদ্ধ রেখেছে। যে মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে সেই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত। অথচ ২০১৪-১৫ সালের মামলায় তাঁকে জড়িত করে তাঁর কারাজীবন দীর্ঘায়িত করছে সরকার। যে দেশে গণতন্ত্র নাই, সে দেশে আইনের শাসন থাকে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না। তাই বলছি, আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়াকে মুক্ত করা কঠিন হবে। কারণ তাঁর কারাবন্দিত্বের সিদ্ধান্তগুলো রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিকভাবেই মাঠে থেকে তাঁকে আমাদের মুক্ত করতে হবে।’
পেশাজীবীদের উদ্দেশে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘সব পেশাজীবীদের বলব, দু-একদিনের মধ্যে বেগম জিয়াকে যদি মুক্তি না দেওয়া হয় এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে রাজপথে গণমিছিল নিয়ে নামতে হবে দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর মুক্তির জন্য যদি গণমিছিল করা হয় লাখো কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।’
এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যন ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সুস্থ এবং মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে যেতে চাই। মুক্তি যত বিলম্বিত হবে আন্দোলন তত তীব্র হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে রক্ষা নাই। আমরা বলি খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে আপনাদের রক্ষা নাই।’
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মিয়া, মো. আনোয়ার প্রমুখ।