পরপর দুবার নির্বাচনে অংশ না নিলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে পড়বে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, পরপর দুবার কোনো রাজনৈতিক দল যদি জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল না হলেও ঝুঁকির মুখে পড়বে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান।
হেলালুদ্দীন বলেন, ‘কমিশন থেকে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তাঁরা মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করবেন। মন্ত্রিসভায় যদি এটি অনুমোদন হয়, তাহলেই সংসদে যাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি কোন পর্যায়ে আছে, তার তথ্য পাইনি। যদি এটা আরপিও সংশোধন হয়, তাহলে তো ভালো। আর যদি নাও হয়, সে ধরনের প্রস্তুতিও আমাদের আছে। আগের আরপিও দিয়েও আমরা নির্বাচনের সব কার্যক্রম পরিচালনা করব। নির্বাচন কমিশন ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করবে কি করবে না, এ ধরনের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। আরপিও সংশোধন হলে পরে তখন একটা বিষয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যদি এই সংসদে নাও হয়, আমাদের তো অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন আছে, যেখানে আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি।’
ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে এমনটি জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘৩০ অক্টোবরের পরে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এ বিষয়টি সামনে রেখে ইসি সচিবালয় বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সারা দেশের ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রের তথ্য পেয়েছি। সেগুলো প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। যখন তফসিল ঘোষণা করা হবে, তখন রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলোর তালিকা আমাদের কাছে পাঠাবেন। এরপর গেজেট আকারে ৩০০ আসনের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
এ ছাড়া সচিব বলেন, ‘আজ থেকে ১০ আঞ্চলিক অফিসে ভোটার তালিকার সিডি পাঠানোর কাজ শুরু করব। প্রথমে সিলেট ও খুলনা অঞ্চলে পাঠাব। বাকিগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে পাঠানো হবে। নিয়মিত কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দিকনির্দেশনা দিচ্ছি। নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে। নির্বাচনে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পরপরই এটি শুরু হবে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অঞ্চলভিত্তিক হবে। যাঁরা তাঁদের প্রশিক্ষণ দেবেন, তাঁদের প্রশিক্ষণও এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।’