রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-জনগণের সম্মতি থাকলে ইভিএম
নির্বাচনের আগে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে প্রত্যেক জেলায় প্রদর্শনী করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘প্রদর্শনী স্টলে আপনারা দেখবেন, বুঝবেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাঁরা আছেন তাঁরা দেখবেন, বুঝবেন। তাদের যদি সম্মতি থাকে, জনগণের যদি সমর্থন থাকে তখন আমরা এইটা ব্যবহার করব।’
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দিনাজপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিইসি। এ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘খুবই প্রাসঙ্গিক। এটা নিয়ে অনেকে কথাবার্তা বলছে। আমরা ইভিএম ব্যবহার করতে চাই, ইভিএম ব্যবহারের ব্যাপারে আইনের পরিবর্তন দরকার একটা। এটা হলো আরপিওর পরিবর্তন দরকার। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা সরকারের কাছে অর্থাৎ আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সেটা এখন পর্যন্ত আইনে পরিণত হয়নি। যদি আইনে পরিণত হয়, আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরে যতটুকু সক্ষম আমরা হতে পারব, অতটুকু প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। তার আগে জেলা পর্যায়ে, উপজেলা পর্যায়ে কতগুলো প্রদর্শনী হবে। প্রদর্শনীতে স্টল রাখব, আমাদের যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাঁরা সেখানে আপনাদের সেটা দেখাবেন। আপনারা দেখবেন, বুঝবেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যাঁরা আছেন তাঁরা দেখবেন, বুঝবেন। তাদের যদি সম্মতি থাকে, জনগণের যদি সমর্থন থাকে তখন আমরা এইটা ব্যবহার করব।’
ইভিএম ব্যবহার করা হলেও ৩০০ আসনে ব্যবহার করা সম্ভব না বলেও জানান নির্বাচন কমিশনের এই প্রধান।
কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘সারা দেশে ইভিএম ব্যবহার করা আসলেই যাবে না। আমরা যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু, যদি আমরা মনে করি ১০টা কেন্দ্রে ব্যবহার করা যায়, ১০টা কেন্দ্রে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। ব্যাপকভাবে পারব না। সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। তবে এটা আমরা ইন্ট্রোডিউস করতে চাই। শুরু করতে চাই। নির্বাচনের যে এই রকমের অসুবিধা হয়, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে, এটা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। প্রযুক্তির ব্যবহার কোথাও কোথাও থাকা দরকার, এটা আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচন কমিশন। সেখানে কতটুকু সীমিত আকারে হবে।’
এ সময় নতুন করে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে না বলেও জানান কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘তাদের অসন্তুষ্ট করে কিছু করা হবে না। নির্বাচন তো পিছিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন তো এই সময় সীমার মধ্যে হতেই হবে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা। তাঁরা আসবে এটা কীভাবে বলব, তাদের কোনো স্ট্যাটেজি আছে কি না।’
মতবিনিময় সভায় দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক ড. আবু নইম মোহাম্মদ আবদুছ ছবুর, পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েমসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।