স্পিলবার্গের ছবিতে জেনিফার লরেন্স
স্বপ্নের মতোই ব্যাপার, স্পিলবার্গের ছবিতে অভিনয়! তাও সে সুযোগ মিলেছে রিজ উইদারস্পুন কিংবা মার্গট রোবির মতো তারকাকে ডিঙিয়ে। পুরো বিষয়টাই বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে জেনিফার লরেন্সের কাছে। স্পিলবার্গের মতো পরিচালকের ছবি যখন, চরিত্র তো একটু ভিন্ন হওয়ারই কথা! ইনডিপেনডেন্টের খবরে জানা গেল, এ ছবিতে যুদ্ধক্ষেত্রের এক আলোকচিত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন জেনিফার লরেন্স।
এই ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে আলোকচিত্রী লিনসি আদারিওর তুমুল আলোচিত স্মৃতিকথা ‘ইটস হোয়াট আই ডু : এ ফটোগ্রাফার্স লাইফ অব লাভ অ্যান্ড ওয়ার’ অবলম্বনে। এই ছবিতে দেখা যাবে পৃথিবীর ভয়ংকরতম কিছু স্থানে এই আলোকচিত্রীর বিচরণ। যারা যুদ্ধের নির্মম শিকার, তাদের পরিচয় দেওয়ার জন্য একাগ্র প্রচেষ্টা ছিল আদারিওর। এর স্বীকৃতি হিসেবে পুলিৎজারও পেয়েছেন। সিরিয়াতে মুয়াম্মার গাদ্দাফির সেনাবাহিনী তাকে অপহরণও করেছিল। এই কাহিনী জেনে চমকে উঠেছেন অনেকে। গত মাসে তার আত্মজীবনীটি প্রকাশিত হওয়ার পরই জানা গেছে এই তথ্য।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান কিংবা ইরাক থেকে শুরু করে কঙ্গো কিংবা সিরিয়া- জীবন যেখানে যেমন দেখেছেন ক্যামেরার চোখে; তারই চলমান চিত্র দর্শক দেখতে পাবেন স্টিভেন স্পিলবার্গের ফ্রেমে। এমন দুর্দান্ত চরিত্র তো চাইলেই পাওয়া যায় না। সে হিসেবে ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানাতেই পারেন জেনিফার।
তবে আদারিওর চরিত্রে ক্যামেরা হাতে মাঠে নামার জন্য এখনই তালিম নিতে হবে না জেনিফারকে। যে ছবির জন্য আপাত বিখ্যাত হয়ে ওঠা তার, সেই ‘হাঙ্গার গেমস’-এর সবশেষ কিস্তি ‘মকিং জে ২’ ছবিতে কয়েকদিন বাদেই দেখা যাবে তাকে। এ মুহূর্তে তিনি ‘জয়’ নামের একটি ছবির কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। একজন একলা মা থেকে সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে গড়ে ওঠা এ ছবিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জেনিফার লরেন্স।