স্বাধীনতা পদক বাবার ভালো কাজের ফল : বাপ্পারাজ
আগামীকাল শুক্রবার ৬ মার্চ সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ পরিচালিত চলচ্চিত্র কার্তুজ। এটি তাঁর পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র। কার্তুজ ছবির মূল গল্প রচনা করেছেন অভিনেতা, পরিচালক বাপ্পারাজ নিজেই। সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন ছটকু আহমেদ।
কার্তুজ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নায়করাজ রাজ্জাক, প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম, শিরীন বকুল, শিরীন আলম, সোহান খান, তুষার খান, শিমুল খান প্রমুখ। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক সম্রাট ও নবাগতা নায়িকা ফারজানা রিক্তা। আগামীকাল মুক্তি পেতে যাওয়া চলচ্চিত্রটি ছাড়াও বাবা নায়করাজ রাজ্জাকের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বাপ্পারাজ কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : আপনার পরিচালিত প্রথম ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে, কেমন লাগছে?
উত্তর : এটি আমার প্রথম পরিচালনা হলেও আমি এই কাজ অনেক আগে থেকেই করি। ছোটবেলা থেকেই আমি চলচ্চিত্রের সাথে এমনভাবে জড়িত যে আমার কখনো মনেই হয়নি এটা আমার প্রথম কাজ।
প্রশ্ন : ছবির প্রচারণার কাজ কেমন চলছে?
উত্তর : বাংলদেশের চলচ্চিত্রের ট্র্যাডিশনাল প্রচারণার পাশাপাশি আমরা অনলাইনে প্রচার চালাচ্ছি। চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।
প্রশ্ন : আপনার ছবির মূল বিষয় কী?
উত্তর : বাংলা চলচ্চিত্র মানেই মারামারি শেষ তখন পুলিশ এসে হাজির। প্রায় ছবিতে পুলিশ মানেই অন্যায়ের হতিয়ার। আমি পুলিশের এমন ভূমিকায় বিশ্বাস করি না। পুলিশ যদি এতটাই খারাপ হতো তাহলে আমরা রাতে ঘরে ঘুমাতে পারতাম না। পুলিশেরও জীবন আছে, তারা আমাদের মতোই মানুষ আর আমার এই চলচ্চিত্রে মূলত দেখাতে চেষ্টা করেছি পুলিশের জীবন কেমন হয়, কত প্রতিবন্ধকতা পার করে পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে।
প্রশ্ন : নায়ক সম্রাট কী ভূমিকায় অভিনয় করছেন?
উত্তর : আসিফ খান নামে একজন সাহসী পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছে সম্রাট। একজন পুলিশ অফিসার কীভাবে আমাদের সমাজে কাজ করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যায়- এ সবই দেখা যাবে সম্রাটের মাধ্যমে। এই ছবির শেষটাও দারুণ। আমরা সব সময় যে ধরনের গল্গ নিয়ে ছবি দেখি এই গল্পটা একটু আলাদা।
প্রশ্ন : প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন। শুটিং কোথায় করেছেন।
উত্তর : প্রতিটি দৃশ্য ধারণের আগে পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। ছবিতে দর্শকরা বাংলাদেশের অনেক নতুন জায়গা দেখতে পাবেন। কারণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে যেখানে সাধারণত শুটিং হয় না। এটা করতে পেরেছি আমাদের চেষ্টার কারণে। আমি কখনো কোনো কাজে ছাড় দেই না।
প্রশ্ন : এই ছবিতে প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলাম অভিনয় করেছেন, তাঁকে দিয়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
উত্তর : চাষী আঙ্কেল আমাদের পারিবারিক ভাবে অনেক কাছের। আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই তিনি কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকতেন। উনাকে খুব মিস করি। উনি এই ছবিতে পুলিশ কমিশনারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ছবিতে কাজ করার সময় দেখেছি উনি শুধু একজন গুণী পরিচালকই নন উনি একজন বড় মাপের অভিনেতাও। আবার এই ছবির একটি দৃশ্য ধারণের সময় উনি স্বীকার করলেন অভিনয় করা অনেক কঠিন।
প্রশ্ন : আপনার প্রথম ছবি মুক্তি পাচ্ছে আর আপনার বাবা একই সময় স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন- কেমন লাগছে?
উত্তর : অনেক ভালো লাগছে , কারণ আমার বাবা তার কাজের ফল পাচ্ছেন। অগে মানুষ ছবি দেখত আর এখন মানুষ ছবি না দেখেই সমালোচনা করে। আপনাদের বলব ছবি দেখুন। সমালোচনা করুন ভালো কাজের। প্রশংসা করুন ভালো কাজের। আমার বাবা যে পুরস্কার পাচ্ছেন- এটাও এক ধরনের প্রশংসা। এতে আরেকজন মানুষ ভালো কাজের উৎসাহ পান। আপনারা হলে আসুন, ছবি দেখুন, গঠনমূলক আলোচনা করুন। কারণ আমরা আরো কাজ করতে চাই।