দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চান আহত সবুজ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ। এ উপলক্ষে পুরান ঢাকার অস্থায়ী আদালতে রায় দেখতে হাজির হয়েছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সম্রাট আলম সবুজ ও তাঁর মা মাহমুদা মনোয়ারা বেগম।
গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের ব্যথা আজও সম্রাটকে ভোগায়। লাঠির সহায়তা নিয়ে হাঁটতে হয় তাকে।
সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে তাঁর মা মাহমুদা মনোয়ারা এনটিভি অনলাইনকে জানান, ২০০৪ সালে কেরানীগঞ্জ থেকে ছেলে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, কিন্তু ওই দিন এমন কিছু হবে, তা কল্পনায়ও ছিল না। প্রাণে বেঁচে গেলেও ছেলেটি পঙ্গু হয়েছে আর প্রায়ই রাতে ব্যথায় কাতরায় সে।
ভুক্তভোগী সম্রাট জানান, এ ঘটনায় যারা দোষী, সবার ফাঁসি দিতে হবে। যেন সারা বিশ্বে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দলটির সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নৃশংস হামলায় ২৪ জন নিহত ও নেতাকর্মী-আইনজীবী-সাংবাদিকসহ পাঁচ শতাধিক লোক আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের প্রথম সারির অন্যান্য নেতা এই গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যান। এতে অল্পের জন্য শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তাঁর শ্রবণশক্তি আঘাতপ্রাপ্ত হয়।