কবির ক্রিকেট দর্শন
আজ ইংল্যান্ড বনাম বাংলাল্যান্ড
মোটামুটিভাবে ক্রিকেটবিশ্বের এখন জানাই হয়ে গেছে, পুল ‘এ’ থেকে তিনটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত যাচ্ছে—নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকা। ক্রিকেটবিশ্বের সামনে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই পুল থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের চতুর্থ স্থানটি কে পাবে—বাংলাদেশ, না ইংল্যান্ড? ইংল্যান্ড, না বাংলাদেশ? কোয়ার্টার ফাইনালে পুল ‘বি’র শীর্ষ দল ভারতকে মোকাবিলা করার গৌরব অর্জন করবে কে?
বিশ্বকাপের ৩৩তম ম্যাচে অ্যাডিলেড ওভালে আজ ৯ মার্চ এই মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর মিলবে। আজ আমাদের সামনে থাকবে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাওয়া বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি। আর ইংল্যান্ডের সামনে থাকবে গত বিশ্বকাপে সূর্য সেনের বীর চট্টলায় বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের বদলা নেওয়ার সুযোগ।
[ইংল্যান্ড ৪৯.৪ ওভারে ২২৫ রান। বাংলাদেশ ৪৯ ওভারে, ৮ উইকেটে ২২৭ রান। ২ উইকেটে বাংলাদেশ জয়ী।]
ক্রিকেট আবিষ্কারকদের বিরুদ্ধে পাওয়া সেই জয়েও গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হয়নি। নিট রানরেটে আমরা হেরে গিয়েছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। কিন্তু এবারের সমীকরণ ভিন্ন। এবার ইংল্যান্ডকে বধ করতে পারলেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত। নিউজিল্যান্ডের কাছে শেষ খেলায় পরাজিত হলেও ক্ষতি নেই। পক্ষান্তরে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয় পেলেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের অপেক্ষায় থাকতে হবে ইংল্যান্ডকে। গ্রুপের শেষ খেলায় আফগানিস্তান যদি হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে, তখন ৫ পয়েন্ট নিয়েও বাংলাদেশ পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। সুতরাং পুল ‘এ’র চতুর্থ স্থানের লড়াইটা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত জারি থাকবে।
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা-মিশনে আমরা যেমন জয়ী হয়েছি, ইংল্যান্ডও কি সে রকমই বদলা-মিশনে জয়ী হবে আজ? আফগানিস্তান বা স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে যতটা সহজ ছিল জয়, ততটা সহজ হবে কি কয়েকবারের রানার্সআপ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়?
আমার কাছে চিন্তার বিষয় হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশ বিশ্বকাপে দুর্বল দুটো দলের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে, পক্ষান্তরে ইংল্যান্ড হেরেছে গ্রুপের শক্তিশালী তিন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। এবারের বিশ্বকাপে কোনো টেস্ট প্লেয়িং দেশের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের নেই।
তার পরও উজ্জীবিত তরুণ বাংলাদেশের সঙ্গে কোণঠাসা-ইংল্যান্ডের একটা নেইলবাইটিং (নখ-কামড়ানো) যুদ্ধই যে আজ হবে, সে ব্যাপারে অনেকের মতো আমিও নিশ্চিত।
ওপেনার এনামুল বিজয়ের আহত হয়ে অবসরে যাওয়ার পর দলে ইমরুলের অন্তর্ভুক্তি, বাংলাদেশের জন্য শাপে বরও হতে পারে। কেননা, ২০১১ সালে এই ইমরুল কায়েসই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬০ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিল। সেই ম্যাচে ইমরুল আউট হয়নি, রানআউট হয়েছিল। সো, ইমরুল ক্যান মেইক দি বিগ ডিফারেন্স টুডে।
৯ মার্চ-২০১৫
রাত ১ : ৩০মি