মির্জা আব্বাস দম্পতির আগাম জামিন
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার এ তিনটি মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
মির্জা আব্বাস দম্পতির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নয়াপল্টনের তিন মামলায় মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আট সপ্তাহের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সকালে বিএনপির এ দুই নেতা হাইকোর্টে এসে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কক্ষে অবস্থান করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রমের মধ্যে গত ১৪ নভেম্বর দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি পোড়ানো হয়, ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি। এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলা করা হয়।
পুলিশের করা তিনটি মামলার প্রতিটিতে হুকুমের আসামি করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যাত্রাবাড়ী থানা বিএনপির সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, বিএনপি নেতা আকতারুজ্জামান ও কফিল উদ্দিনকে।
পল্টন থানায় ১৪ নভেম্বর রাতে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৯২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ১৬ জনকে।
পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা ২২ নম্বর মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৯ জনকে। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২৩ জনকে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দণ্ডবিধিতে করা ২৩ নম্বর মামলায় আসামির তালিকায় ১৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২৬ জনকে।
পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন কর্মকর্তা, দুজন আনসারসহ আহত হয়েছেন ২৩ পুলিশ সদস্য। পল্টন থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ। এসব মামলায় অন্তত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।