সানিই আমার ঐশ্বরিয়া রাই : রজনিশ
মুম্বাইয়ের সেরা হয়ে ওঠার জন্য কোনো কিছুরই কমতি ছিল না রজনিশ দুগালের। ২০০৩ সালে মিস্টার ইন্ডিয়া খেতাব জেতার পর বলিউডে অভিষেক হতে হতে ৫ বছর। কিন্তু মডেলিংয়ে দারুণ ‘হিট’ এই তরুণ কেন যেন বলিউডে ঠিক ‘ফিট’ই হতে পারেননি এখনো! সানি লিওনের আসন্ন ছবি ‘এক পহেলি লীলা’ কি বলিউডে তাঁর আসনকে পাকাপোক্ত করতে পারবে? এসব নিয়েই রজনিশের সাথে হালকা মেজাজে আলাপ করেছে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যম ফিল্মফেয়ার।
প্রশ্ন : সানি লিওন যখন বললেন, ‘রজনিশই আমার সালমান খান’; কেমন লেগেছিল?
উত্তর : ‘ঢোলি তারো’ গানটার শুট করার সময় থেকেই আমরা মজা করে একজন আরেকজনকে ঐশ্বরিয়া আর সালমান বলে ডাকছিলাম। যেমন ধরুন আমি বলছিলাম ‘চল ঐশ্বরিয়া এইবার এই স্টেপটা করা যাক!’ এমনকি আহমেদ স্যারও আমাদের সালমান আর ঐশ্বরিয়া হিসেবে ট্যাগ করে দিয়েছিলেন! সানি যদি আমাকে তার সালমান খান বলে থাকে, তাহলে অবশ্যই আমার কোনো আপত্তি নেই!
প্রশ্ন : লিওন কি আপনার ঐশ্বরিয়া রাই?
উত্তর : হ্যাঁ, অবশ্যই! সানিই আমার ঐশ্বরিয়া রাই- এই সম্পর্ক কেবল সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ!
প্রশ্ন : সানি লিওনের সাথে আপনার এটা তো প্রথম ছবি...
উত্তর : আগে ওর সাথে পরিচয় হয়নি। একদিন ববি আর আহমেদ খান আমাকে ডেকে এই ছবি করার প্রস্তাব দিলেন। তারা আমাকে আমার চরিত্র বুঝিয়ে দেন, চিত্রনাট্য পড়তে দেওয়ার সময় বারবার বলে দিলেন যে আমার কিন্তু সানি লিওনের বিপরীতে অভিনয় করতে হবে। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি থাকলে সেটা এখনই যেন জানিয়ে দেই, কারণ অনেক অভিনেতাই নাকি এমনটা করে থাকেন! আমার চিত্রনাট্য আর নিজের চরিত্রটা পছন্দ হলো, আর সানির সাথে কাজ করতে আমার কোনো দ্বিধাই ছিল না। কাজেই তাকে নিয়ে আমার কোনো সমস্যা ছিল না। আর শুটিং তো আমরা শুরু থেকেই একদম কাঁপিয়ে দিয়েছি।
প্রশ্ন : ছবিতে তিনটি প্রধান পুরুষ চরিত্র। নিজেরটা বাদে অন্য কোনো চরিত্র আপনাকে প্রলুব্ধ করেছে?
উত্তর : না। আমার নিজের রোলটাই আমার ভালো লেগেছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, ছবিতে সম্ভবত আমিই সানির একমাত্র প্রেমিক- ছবিটা মনোযোগ দিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন।
প্রশ্ন : এখন কি ‘বোল্ড’ ছবি করার ঠিকঠাক সময়?
উত্তর : আমি একটু ব্যতিক্রম কিছু করতে চাই। কেবল এই ছবিটাই নয়, আমার নেক্সট ছবি ‘ডাইরেক্ট ইশক’ এও আমার চরিত্র বেশ ব্যতিক্রম!
প্রশ্ন : আপনি তো বিবাহিত পুরুষ। সানি লিওনের বিপরীতে অভিনয় করার কথা শুনে আপনার স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
উত্তর : আমাদের ভালোবাসা অসীম। আমার যখন ১৯, তখন থেকে পল্লবীর সাথে চলা শুরু। কোনো কিছুই আমাদের আলাদা করতে পারবে না। মিস্টার ইন্ডিয়া জেতার পর আমাকে ‘মার্ডার’ অফার করা হয়েছিল। কিন্তু ওখানে চুমুর দৃশ্য ছিল বলে আমি রাজি হইনি। ভাট সাহেবকে যখন আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম, তখন আমি আসলে জানতাম না যে আমি কি করতে চাই। কেবল তখন মিস্টার ইন্ডিয়া জিতেছি। যখন মিস্টার ইন্টারন্যাশনালের জন্য লন্ডন গেলাম, তখন পল্লবীকে বলেছিলাম যে এ কাজটা আমি ঠিক করতে চাই না। কিন্তু অভিনয়ে ব্যাপারটা এমন নয়। একবার অভিনয় শুরু করলেই বুঝতে পারবেন, সবই অভিনয়! এ ছবিতে আমার চুমু খাওয়ার দৃশ্য নেই বটে, কিন্তু অন্য অনেক কিছু তো আছে (হাসি)!
প্রশ্ন : বলিউডে এখন কী করতে চান?
উত্তর : ভিন্ন ধরনের চরিত্রের খোঁজে আছি। সাইকো থেকে শুরু করে স্পোর্টসম্যান, যেকোনো কিছুর জন্য আমি প্রস্তত- শুধু চরিত্রটি হতে হবে চ্যালেঞ্জিং। যত চ্যালেঞ্জিং রোল হবে, ততই ভালো পারফর্ম করতে পারব আমি।