অরিত্রীর মৃত্যু : মামলা তদন্ত করবে ডিবি
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাই, এই মামলার তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি এখন ডিবিই পরিচালনা করবে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
গতকাল মঙ্গলবার অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। মামলায় আসামি করা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন তালুকদার।
পরে আজ বিকেলে এ মামলার এফআইআর ( প্রাথমিক তথ্য বিবরনী ) এসে পৌঁছালে, বিচারকের নিকট উপস্থাপন করা হয়। পরে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
গত রোববার পরীক্ষার হলে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন পান এক শিক্ষিকা। মোবাইল ফোনটি রেখে দিয়ে তিনি অরিত্রীর বাবা মাকে নিয়ে পরদিন আসতে বলেন। পরির দিন, সোমবার বাবা মাকে নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। পরে, বাসায় গিয়ে অরিত্রীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
এরপর দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে তাদের ওই অভিযোগ শুনি। জোর হাত করে ক্ষমা চাই। মেয়েও পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। কিন্তু তাঁরা কোনো কিছুই শুনতে না চেয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। বলেন, বের হয়ে যান, কাল এসে টিসি নিয়ে যাবেন। এ সময় দ্রুত বাসায় চলে যায় অরিত্রী। পেছনে পেছনে আমরাও যাই। বাসায় গিয়ে দেখি সে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে, এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, তাঁর মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক দায়ী।