স্কয়ার ড্রাইভ
টেলরের বিদায়ে জিম্বাবুয়ের অপূরণীয় ক্ষতি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুটা তেমন ভালো না হলেও যত দিন গড়িয়েছে, ততই পরিণত হয়েছে ব্রেন্ডন টেলর। ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় জিম্বাবুয়ে দলকে বিদায় জানাচ্ছে সে। এই সময়ে তার চলে যাওয়া জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি।
বিদায়ী ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছে টেলর। বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করাও কম কথা নয়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুবাদে তাকে অনেক কাছ থেকে দেখেছি। ঢাকার লিগেও অনেক ম্যাচ খেলেছে সে। টেলর অসম্ভব মেধাবী ব্যাটসম্যান। তাকে নির্দ্বিধায় জিম্বাবুয়ের সেরা ক্রিকেটারদের সারিতে রাখা যায়। আমি তো বলব জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার-গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের পরেই তার স্থান। শুধু ব্যাটসম্যান নয়, সে ভালো উইকেটরক্ষকও।
টেলর আরো চার-পাঁচ বছর অনায়াসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে পারত। তার প্রস্থান জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটে শূন্যতা তৈরি করবেই। কারণ দলটির অবস্থা ভালো নয়। মেধাবী ক্রিকেটার তেমন নেই।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের চরম দুর্দিনে ২০০৪ সালে টেলরের আবির্ভাব। সেই থেকে টানা ১১ বছর খেলে দলের অনেক স্মরণীয় জয়ের নায়ক সে।
একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে তার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল। তার সুন্দর ও সফল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।