আবারও সেন্সর বোর্ডে পরীর ‘নগর মাস্তান’
বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি অভিনীত, রকিবুল আলম রাকিব পরিচালিত ‘নগর মাস্তান’ছবিটি আটকা পড়েছে সেন্সর বোর্ডে। চারটি বিষয় উল্লেখ করে সেন্সরবোর্ড ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সময় নির্ধারণ করে দেয়। ২৪ মার্চ আপিলের শেষ তারিখ হওয়ায় প্রযোজক আগামী ২২ মার্চের মধ্যে ছবিটি সংশোধন করে আবার জমা দিচ্ছেন।
প্রযোজক বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে কেন আমাদের ছবি প্রদর্শনের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আমরা তা সংশোধন করে আবার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করছি।’
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সেন্সরের জন্য ছবিটি বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ছবিটি সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষার পর জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনের অযোগ্য ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের হয়ে সচিব মো. নিজামুল কবীর এক লিখিত বিবরণীতে চারটি বিষয়ের উল্লেখ করে ‘নগর মাস্তান’ ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বরাবর একটি লিখিত চিঠি দেন । এতে উল্লেখ করা হয় : প্রথমত, অপর্যাপ্ত কাহিনীবিন্যাসে নির্মিত চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে চলচ্চিত্র সম্পর্কে দর্শকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এবিষয়ে প্রযোজক বলেন, ‘আমাদের কিছু দৃশ্য ফেলে দিচ্ছি, যা গল্পের সঙ্গে বাড়তি মনে হচ্ছিল। এতে এক নম্বর সমস্যার সমধান হবে।’
দ্বিতীয়ত, ভারতীয় সিনেমার গানের সুর নকল করে এ চলচ্চিত্রের সুর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রযোজক বলেন ‘ আমরা বাজিগর ছবির একটা গানের সুর নকল করেছিলাম, এখন এই গানটি বাদ দিলেও আমাদের ছবির কোনো সমস্যা হবে না।’
তৃতীয়ত, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি, চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করতে পারে।
এ বিষয়ে প্রযোজক বলেন, ‘গল্পের প্রয়োজনে ভিলেন একটি থানা উড়িয়ে দেয় এমন একটি দৃশ্যের জন্য এমন মন্তব্য করা হয়েছে। কিছু শট আমরা বাদ দিলেও পুরো সিক্যুয়েন্স আমরা ফেলতে পারছি না। তাহলে গল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমার ধারণা সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পুরো ছবিটি আবার দেখলে আমরা ছাড়পত্র পেয়ে যাব।’
চতুর্থ এবং শেষ সমস্যা ছিল, চলচ্চিত্রে প্রবল আইনহীনতা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেখানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেন্সর বোর্ড ‘নগর মাস্তান’ ডিজিটাল চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয় বলে অভিমত দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রযোজক বলেন, “আমার ছবির নাম ‘নগর মাস্তান’, এতে বাংলাদেশের প্রায় সব ভিলেনই অভিনয় করেছে। পুলিশ অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে সমাজের শান্তি বজায় রাখে। আমরা শুধু অনেক প্রতিবন্ধকতা দেখিয়েছি। এরপরও কিছ দৃশ্য আমরা বাদ দিয়েছি। আমরা মনে করি এবার আর সেন্সর বোর্ডের অনুমতি পেতে সমস্যা হবে না।’
বোর্ডের চিঠিটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রযোজকের হাতে আসে। এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, পত্রপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বরাবর আপিল আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। যা পালন করছেন ছবির প্রযোজক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম।
এ বিষয়ে প্রযোজক বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড যে সমস্যাগুলো উল্লেখ করেছে আমরা সে সমস্যার সমাধান করে এই ৩০ দিনের মধ্যে আবারও প্রদর্শনের অনুমতি চাইব। আর পরীমনি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নায়িকা, তাকে ছোট করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা চলচ্চিত্রের ক্ষতি করছে।’