স্কয়ার ড্রাইভ
সরফরাজকে একটু আলাদাই মনে হয়
সরফরাজ আহমেদ নিঃসন্দেহে মেধাবী ব্যাটসম্যান। তার ব্যাটিং বেশ পরিণত। অন্য পাকিস্তানিদের চেয়ে তাকে একটু আলাদাই মনে হয় আমার। দলের প্রয়োজনে দৃঢ়তার সঙ্গে ব্যাট করার ক্ষমতা রয়েছে তার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে সে প্রমাণও দিয়েছে সরফরাজ।
সরফরাজকে প্রথম একাদশে রাখার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শক্তি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে নেমেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৯ রানের দারুণ একটা ইনিংস খেলেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করে যোগ্যতার প্রমাণও ভালোভাবেই দিয়েছে সে।
আমার মনে হয়, পাকিস্তানের সরফরাজকে শুরু থেকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। সে উইকেটরক্ষক হিসেবেও ভালো। তাকে দলে নেওয়ায় পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে তো বটেই, পুরো দলেই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সরফরাজের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং পাকিস্তান দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে; যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে কাজে আসতে পারে।
পাকিস্তানের বড় সুবিধা, অ্যাডিলেডেই শেষ আটের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা। রোববারের ম্যাচটা খেলে তাদের একরকম অনুশীলনও হয়ে গেল।
অনেকের ধারণা, পাকিস্তান ১৯৯২ বিশ্বকাপের মতো এগোচ্ছে। সেবার অতিকষ্টে সেমিফাইনালে উঠলেও শেষ পর্যন্ত ইমরান খানের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমার মনে হয় এবারও তারা সেভাবে এগোচ্ছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে খেলছে বলে চাপের মধ্যে পড়তে পারে। এটা পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। কষ্ট করে শেষ আটে উঠলেও কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের জেতার জোরালো সম্ভাবনা।
পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যেমন আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে, তেমনি বোলিংয়েরও অনেক উন্নতি হয়েছে। তাদের এখন বেশ গোছালো দল বলে মনে হচ্ছে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচও তিনি।