জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না : এরশাদ
জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে না। সবাইকে নির্বাচনের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার বক্তব্য ভুলভাবে প্রচার হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। মহাজোট ব্যতীত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মুক্তভাবে নিজ নিজ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। তাদেরকে নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত/প্রকাশিত এবং সম্প্রচারিত সংবাদ সংশোধন করার অনুরোধ করছি।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপ-প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে জানান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিবৃতি দিয়ে দলের সব প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টির কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ১৭৩ জন প্রার্থী ১৭৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদ দুটি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৭৫টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসন জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দিয়েছে মহাজোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগ।
আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুককে সমর্থন জানিয়ে সেখান থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ঢাকা-১৭ আসন ছেড়ে দেওয়ায় এরশাদ শুধু মহাজোটের প্রার্থী রংপুর-৩ আসনে নির্বাচন করছেন। সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে ১৭ দিন পর গতকাল বুধবার রাতে দেশে ফেরেন এরশাদ।
এর আগে রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফেজ মো. রুহুল আমিন মাদানীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি শুধু ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া গাজীপুর, কুড়িগ্রাম, মাগুরা, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন আসনে জাতীয় পার্টির মুক্ত প্রার্থীরা এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।