শিরোপায় চোখ ডি ভিলিয়ার্সের
অবশেষে বিশ্বকাপের কোনো নক-আউট ম্যাচে জয়ের আনন্দে বিভোর দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন যদি ‘চোকার্স’ অপবাদটা ঘোচে! কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স আগের চেয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসী। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের দৃষ্টি এখন শিরোপার দিকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অন্যতম শক্তি পেস আক্রমণ। অথচ বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সবাইকে অবাক করে জ্বলে ওঠেন ইমরান তাহির ও জেপি ডুমিনি। লেগস্পিনার তাহিরের চার উইকেট শিকার আর অফব্রেকে ডুমিনির হ্যাটট্রিকের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কা মাত্র ১৩৩ রানেই অলআউট। ম্যাচ শেষে তাই সবার আগে দুই স্পিনারের প্রশংসায় মেতে উঠলেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘ম্যাচের আগেই আমাদের মনে হচ্ছিল জেপিকে (ডুমিনি) হয়তো ১০ ওভার বল করতে হতে পারে। সে আর তাহির ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠে ভালো পারফর্ম করেছে।’ এরপর চূড়ান্ত সাফল্যের সম্ভাবনা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়কের মন্তব্য, ‘আমি দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আমি সব সময়ই একজন ইতিবাচক মানুষ। আর সব সময় বড় কিছুতেই বিশ্বাস করি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা দলে যখন বিয়ে বাড়ির আনন্দ তখন শ্রীলঙ্কা হারের শোকে মুহ্যমান। গত দুই বিশ্বকাপের রানার্স-আপদের এবার বিদায় নিতে হলো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। মাহেলা জয়াবর্ধনে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলবেন না। কুমার সাঙ্গাকারাও এরপর শুধুই টেস্ট খেলবেন। দেশের দুই ব্যাটিং-বীরের বিদায়ী ম্যাচ এমন হতাশাজনক হওয়ায় মর্মাহত শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ‘মাহেলা আর সাঙ্গার জন্য বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে না পেরে আমরা হতাশ। (শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে) অসামান্য অবদান রাখায় পুরো দেশ ও দলের পক্ষ থেকে আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ফাইনালে উঠে তাঁদের শিরোপা উপহার দিতে পারলে খুব ভালো হতো। কিন্তু তা হলো না।’