সিটি নির্বাচনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান সিইসির
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলনকক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সিইসি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি সবাইকেই আহ্বান করেছি। এটা নির্দলীয় নির্বাচন, নিয়মানুযায়ী আমি তো রাজনৈতিক দলকে আহ্বান করতে পারি না।’
নির্বাচন কমিশন এমন একসময়ে এই তফসিল ঘোষণা করল, যখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও হরতাল চলছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘অবরোধ, হরতাল-সেটা তো রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেটার ওপরে আমাদের হাত নাই। আমরা ভোটারদের নিরাপত্তার জন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছি, সভা করেছি। ভবিষ্যতে আরো করব, যাতে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা যায়। নির্বাচনের আগেই যাতে সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
সিইসি আরো বলেন, ‘আপনারা জানেন, সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই। এরা ভাড়ার বিনিময়ে কাজ করে থাকে। আমরা অনুরোধ করেছি এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে। এবং এই ব্যবস্থাগুলো নিলে আমরা মনে করছি পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। এবং আমাদের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি হবে না।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও সহিংসতার আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন। পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে হঠাৎ করে চোরাগুপ্তা হামলা হতে পারে। তাঁদের আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যাতে তারা এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকেন।’
নির্বাচনে পক্ষপাতহীন পরিবেশ তৈরি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (পক্ষপাতহীন পরিবেশ) তো তৈরি হবে প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার মাধ্যমে। সে জন্যই আমি আপনাদের মাধ্যমে সকলকে আবারও আহ্বান জানাচ্ছি যে প্রার্থীরা যেন নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেন যে তারা কী করবেন উন্নয়নের জন্য কিংবা ভালো করার জন্য। আমরা নিশ্চিত করব যাতে কোনো ভায়োলেশন হলে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে পারি এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারি।’
নির্দলীয় এই নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘দলীয় নির্বাচন না হওয়ার পরেও দলের সাপোর্ট থাকে এবং এটা আমরা আগেও দেখেছি। আমরা যে রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, রংপুর, গাজীপুর, বরিশাল ইত্যাদি যে সমস্ত জায়গায় সিটি করপোরেশন করেছি সে সমস্ত জায়গাতেও এসব অভিযোগ ছিল। এটা থাকবেই। নির্বাচন মানেই কাকে কাকে আপনি সাপোর্ট করেন, কাকে কাকে করেন না ইত্যাদি প্রচারের ব্যাপার তো থাকবেই। সবচেয়ে আসল কথা হলো যে, আচরণবিধিটা সঠিকভাবে পালন করা। আমি আবারও জানাচ্ছি প্রার্থীরা যেন তাদের এজেন্টদের এবং তাদের সমর্থকদের অত্যন্ত জোরালো ভাষায় বলেন যে নির্বাচন আচরণবিধিটা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলার জন্য। এটা মেনে চলতে পারলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’