তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ড. কামাল হোসেন নিজেকে সংবিধান প্রণেতা ও বিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিলেও যার বদৌলতে এই পরিচিতি পেয়েছেন সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কথা তিনি একবারও বলেননি। শেষ পর্যন্ত তাঁর আসল পরিচয় প্রকাশ হয়ে গেলো। তিনি বিএনপিতে চলে গেলেন এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, তারেক রহমান বলেছে নির্বাচন নিয়ে মামলা করার জন্য। আমরা তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর বিচারের রায় কার্যকর করব।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। টানা দ্বিতীয়বারের মতো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এ গণসংবর্ধনার আয়োজন করে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, একবারের জন্যও উনি (কামাল হোসেন) বলেন নাই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। তিনি নিজেকে সংবিধান প্রণেতা ও বিরাট আইনজীবী পরিচয় দেন। কিন্তু যার বদৌলতে তিনি এতো পরিচিত হয়েছেন তাঁর (বঙ্গবন্ধু) হত্যার বিচারের কথা তিনি একবারও বলেন না।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে পাক হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করল। আর ওনাকে (কামাল হোসেন) বগলতলা করে নিয়ে গেল। উনি ওইখানে ৯ মাস ভালো কাজ করিয়া-ঘুরিয়া আয় করিয়া থেকে গেল। তারপর বঙ্গবন্ধু ওনাকে নিয়ে আসলো। কারণ বঙ্গবন্ধু ওনাকে স্নেহ করতেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা চুরির জন্য খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছেন বিচারিক আদালত। তিনি আপিলে গিয়ে বাঙালিকে হাইকোর্ট দেখালেন। হাইকোর্ট তাঁকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। তাঁর ছেলে তারেক রহমান ২২ জনকে হত্যার কারণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। তারেক রহমানকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে তাঁর রায় কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমরা সফল হয়েছি। যে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি-মিসকিনের দেশ বলা হতো সেই দেশকে শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন।
সভায় আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজলি খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ফুল দিয়ে মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। পরে মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।