স্কয়ার ড্রাইভ
গাপটিলের চোখজুড়ানো ব্যাটিং
খুব আগ্রহ নিয়ে কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ দেখতে বসেছিলাম। ভেবেছিলাম কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস জিতে আগে ব্যাট করলে ক্রিস গেইলের ব্যাটে ‘ঝড়’ উঠতে দেখব। ঝড়ো ব্যাটিং দেখলাম বটে, তবে তা গেইলের নয়, মার্টিন গাপটিলের। কী অসাধারণ ব্যাটিং করেছে সে! যেন ‘হাইলাইটস’ দেখলাম। একেবারে চোখজুড়ানো ব্যাটিং।
আমার মনে হয় গেইলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার একটা তাড়না কাজ করছিল গাপটিলের মধ্যে। এই কিউই ওপেনার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকলেন ২৩৭ রান করে। এমন ব্যাটিংয়ে আমি মুগ্ধ। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে সাজানো ইনিংসটা দুর্দান্ত। এবারের বিশ্বকাপে আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
নিউজিল্যান্ড যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে তাদের ফাইনালে খেলা উচিত। কিউইদের ধারাবাহিকতাও চমৎকার। আমার মনে হয় এই দলটাই নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট-ইতিহাসের সেরা। ১৯৯২ বিশ্বকাপের মার্টিন ক্রোর দলের চেয়েও এই দলকে এগিয়ে রাখব আমি।
শনিবার শুধু গাপটিলের চোখজুড়ানো ব্যাটিংই ছিল না, ট্রেন্ট বোল্টও দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওয়েলিংটনের মতো ‘ফ্ল্যাট’ উইকেটে বোলারদের তেমন কিছু করার থাকে না। তবে এই উইকেটেই বোল্ট খুব ভালো বল করেছে।
কিউইদের ফিল্ডিংও ছিল দারুণ। থার্ডম্যানে ড্যানিয়েল ভেট্টরি চমৎকার একটা ক্যাচ নিয়েছে। মারলন স্যামুয়েলসের সেই ক্যাচটাই ম্যাচের গতি-প্রকৃতি পাল্টে দিয়েছে। সে সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুব দ্রুত রান তুলছিল। কিন্তু স্যামুয়েলসের বিদায়ের পর রান তোলার হার কমতে থাকে। গেইলের ব্যাটে অবশ্য কিছুটা ঝলক দেখলাম। সে আরো কিছুক্ষণ টিকতে পারলে লড়াইটা আরো জমত হয়তো। ক্যারিবীয়দের এই হার অবশ্য গাপটিলের বিধ্বংসী ইনিংসের পর অনুমিতই ছিল।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।