স্কয়ার ড্রাইভ
দারুণ লড়াইয়ের আভাস পাচ্ছি
একটা রোমাঞ্চকর সেমিফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছি। দারুণ এক ‘যুদ্ধে’র আভাসও পাচ্ছি। এই লড়াইয়ের দুই প্রতিপক্ষ দারুণ ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। আমার মনে হয় ব্যাট-বলের চেয়েও মনস্তাত্ত্বিক লড়াই বেশি গুরুত্ব রাখবে এই ম্যাচে। মানসিকভাবে যে দল যত বেশি দৃঢ়তা দেখাতে পারবে ম্যাচে তারা বেশি এগিয়েও থাকবে। নিউজিল্যান্ড ঘরের মাঠে খেলবে বলে মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকবে হয়তো। তবে ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচাতে দক্ষিণ আফ্রিকার চেষ্টারও কমতি থাকবে না নিশ্চয়ই।
কোয়ার্টার ফাইনালে মার্টিন গাপটিলের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি পুরো নিউজিল্যান্ড দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস শেষ চারের লড়াইয়ে কিউইদের কাজে আসবে বলেই মনে হয়।
অবশ্য এই ম্যাচে কিউইদের প্রোটিয়াদের চেয়ে এগিয়ে রাখছি না আমি। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং কোনো বিভাগেই কোনো দলকে এগিয়ে রাখা যাবে না। তিন বিভাগেই আমি দুই দলকে সমান পয়েন্ট দিতে চাই।
নিউজিল্যান্ডের যেমন আছে গাপটিল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও কোরি অ্যান্ডারসন, তেমনি দক্ষিণ আফ্রিকার আছে এবি ডি ভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক ও ফাফ ডু প্লেসির মতো ব্যাটসম্যান।
প্রোটিয়া পেসাররা যেমন দারুণ ফর্মে আছে, তেমনি বিশ্বকাপের সহস্বাগতিক দলের বোলাররাও ভালো করছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আাফ্রিকার বোলাররা শ্রীলঙ্কার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল। তবে এই ম্যাচে তেমন ঘটার সম্ভাবনা কমই বলা যায়। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা ফর্মে আছে, ধারাবাহিকভাবে ভালোও খেলছে।
এই ম্যাচে আমার সমর্থন থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। আমি চাই তারাই জিতুক। চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারলে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে যেতে পারে প্রোটিয়ারা।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।